scorecardresearch
 

বয়স ৪০ পেরিয়েছে? সুস্থ জীবনের জন্য এই কাজগুলি অবশ্যই করুন

টানা অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজের ফলে রোদে বেরনো এক প্রকার বন্ধই। ফলে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিন D-র ঘাটতি। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন কিন্তু আপনাকে এক সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেবে। এক নজরে দেখে নিন সুস্থ জীবনের জন্য কী কী করবেন...

Advertisement
জিম করতে পারলে ভালো, না হলে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ অবশ্যই করুন জিম করতে পারলে ভালো, না হলে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ অবশ্যই করুন
হাইলাইটস
  • জিভে রাশ টানুন
  • তেল মালিশ, গায়ে রোদ লাগান
  • নিজে ডাক্তারি বন্ধ করুন
  • নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

কথায় আছে চল্লিশেই চালশে। ধরাধামে ৪০ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পর শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। বলাই বাহুল্য, সে সবই বয়সের চিহ্ন বহন করে আনে আপনার শরীরে। যেমন হাড় কমজোর হয়ে যাওয়া, বাতের সমস্যা, জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি। তার সঙ্গে নানা রকম মাংসপেশী জনিত সমস্যা দেখা দেয়। টানা অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজের ফলে রোদে বেরনো এক প্রকার বন্ধই। ফলে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিন D-র ঘাটতি। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন কিন্তু আপনাকে এক সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেবে। এক নজরে দেখে নিন সুস্থ জীবনের জন্য কী কী করবেন...

 

শরীরচর্চা
বারবেল-ডাম্বেল তুলতে হবে না, শরীর থেকে যাতে ঘাম বার হয় তেমন কোনও কাজ করলেই চলবে। যেমন ধরুন জোরে হাঁটা। সঙ্গে সামান্য কিছু ফ্রি হ্যান্ড কসরত। ব্যস্ত জীবনের ইঁদুর দৌড়ের প্রভাব আমাদের শরীরে সব থেকে বেশি পড়ে। স্ট্রেস, টেনশন এ সব নানা সমস্যা তৈরি করে শরীরে। প্রতি দিন সামান্য এক্সারসাইজ আপনাকে টেনশন ফ্রি হতে সাহায্য করবে। ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে ক্ষতিকারক টক্সিন। সঙ্গে হাড়ও থাকবে সুস্থ।

 

জিভে রাশ টানুন
এক সময় গোটা পাঁঠা খেয়ে ফেলতে পারতেন, তার মানে এই নয় যে চল্লিশে এসেও সে কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন। মনে রাখবেন, আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। তাই খাবার হজম করতে সময় লাগে। এক সঙ্গে বেশি খেয়ে ফেলা মানে বিপদ ডেকে আনা। তার সঙ্গে অনেকেরই জাঙ্ক ফুডের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে। চল্লিশ পেরনোর পর জাঙ্ক ফুডকে না বলুন। নিয়মিত দুধ খাওযার চেষ্টা করুন। না পারলে ছানা খান। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হবে। খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকবেন না। ভিটামিন এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খান। বার বার অল্প করে খান। কম খান, ভালো খান।

Advertisement

 

তেল মালিশ, গায়ে রোদ লাগান
বডি অয়েল বা নিদেনপক্ষে সরষের তেলও চলবে। কিন্তু সপ্তাহে ২-৩ দিন পারলে একটু উষ্ণ তেল মালিশ করুন। যদি এ কাজে দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্য নেন তবে ভালো হয়। মালিশে মাংসপেশীর ব্যথা কমে এবং জয়েন্টের ব্যথায় আরাম দেয়। ভোরে উঠে কিছু ক্ষণ রাইরে দাঁড়ান। না পারলে সন্ধের আগে দাঁড়ালেও চলবে। মোদ্দা কথা গায়ে সামান্য রোদ লাগাতে হবে। শরীর তা হলে প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন D তৈরি করে নেবে। এতে আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

 

নিজে ডাক্তারি বন্ধ করুন
সামান্য জ্বর সর্দি বা অম্বল, তাও যদি ক্রনিক হয়ে যায়, অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান। নিজে ডাক্তারি করবেন না। মনে রাখবেন, এগুলো কোনও রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ভেতরে কোনও বড় রোগ লুকিয়ে থাকলে আপনি বুঝতেও পারবেন না। আর সব শেষে মনে জোর রাখুন। ওষুধে শরীর সারাতে পারে, মনেক নয়।

 

Advertisement