Pregnancy Signs: শুধু পিরিয়ডস মিস হওয়াই নয়, এগুলিও হতে পারে প্রেগন্যান্সির লক্ষণ

Pregnancy Signs: গর্ভাবস্থার সময়টি প্রতিটি মহিলার সতর্ক থাকার সময়। এই সময়ে মহিলাদের যেমন নিজের যত্ন নিতে হয়, তেমনি তাঁদের শরীরে নানা ধরনের হরমোনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিটি মহিলার গর্ভাবস্থা নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা আছে। গর্ভাবস্থায় সমস্ত মহিলা একই উপসর্গ দেখেন এমন নয়।

Advertisement
শুধু পিরিয়ডস মিস হওয়াই নয়, এগুলিও হতে পারে প্রেগন্যান্সির লক্ষণপ্রেগন্যান্সির লক্ষণ/ প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • গর্ভাবস্থার সময়টি প্রতিটি মহিলার সতর্ক থাকার সময়
  • সাধারণত, পিরিয়ডস মিস হলে গর্ভাবস্থা ধরা পড়ে
  • তবে কিছু ক্ষেত্রে শরীরে আরও অনেক উপসর্গ থাকতে পারে

Pregnancy Signs: গর্ভাবস্থার (Pregnancy) সময়টি প্রতিটি মহিলার সতর্ক থাকার সময়। এই সময়ে মহিলাদের যেমন নিজের যত্ন নিতে হয়, তেমনি তাঁদের শরীরে নানা ধরনের হরমোনের (Hormones) পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিটি মহিলার গর্ভাবস্থা নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা আছে। গর্ভাবস্থায় সমস্ত মহিলা একই উপসর্গ দেখেন এমন নয়।

সাধারণত, পিরিয়ডস মিস হলে গর্ভাবস্থা ধরা পড়ে। তবে কিছু ক্ষেত্রে শরীরে আরও অনেক উপসর্গ থাকতে পারে। তাই সেই লক্ষণগুলি সম্পর্কেও জেনে নিন, যেগুলি দেখে নুঝবেন আপনি গর্ভবতী কি না-

মর্নিং সিকনেস- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মহিলাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় বমি বমি ভাব হয়। অনেককেই পিরিয়ডস মিস হওয়ার পর এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শুধু সকালেই যে মহিলাদের বমি ভাব হয় তা নয়, দিনের যে কোনও সময় এই সমস্যা হতে পারে। এটি একটি লক্ষণ যা গর্ভধারণের কয়েক সপ্তাহ পরেই দেখা যায়। এটি শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাসের কারণে ঘটে। মানসিক চাপ এবং খাবারে গন্ধ লাগার কারণে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

স্তনের আকার পরিবর্তন- গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহে মহিলারা স্তনের আকার, আকৃতিতে পরিবর্তন দেখা যায়। এই সময় স্তন ভারী, কোমল এবং ফোলা ভাব অনুভব করতে পারেন। যা প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের (পিএমএস) উপসর্গের মতো হতে পারে। সাধারণত, নিয়মিত পিরিয়ডসের সময়, মহিলাদের স্তনের রঙ গাঢ় হয় না এবং স্তনের আকারে কোনও পার্থক্য হয় না, তবে এটি গর্ভাবস্থায় ঘটে।

ক্লান্তি- গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে মহিলারা খুব ক্লান্ত বোধ করেন। এই সময়ে, শারীরিক, মানসিক, হরমোনের পরিবর্তন হয়, যে কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

স্পটিং এবং ক্র্যাম্পস- মহিলাদের গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে স্পটিং দেখা যায়। একে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিংও বলা হয়। এটি ফ্যাকাশে গোলপি  বা বাদামি রঙের হতে পারে এবং আপনার পিরিয়ডস শুরু হওয়ার এক বা দু'সপ্তাহ আগে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এমন হলে মহিলাদের আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়, কারণ নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর আস্তরণের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করে, যে কারণে জ্বালা বা হালকা রক্তপাত হতে পারে।

Advertisement

এর পাশাপাশি এই সময়ে ক্র্যাম্পের মুখোমুখি হতে হয়, যা সাধারণত পিরিয়ডসের সময় ব্যথার সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর কারণ হল গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, শরীরের সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুতেও রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, যা ব্যথার অনুভূতি দেয়।

ঘ্রাণ শক্তি বাড়ে- সাধারণত গর্ভাবস্থায় মহিলারা খুব বেশি কিছুর ঘ্রাণ অনুভব করেন। কারণ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, যে কারণে মহিলাদের ঘ্রাণ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে অনেকেই খাবারে গন্ধ অনুভব করে।

POST A COMMENT
Advertisement