Premanand Maharaj: সন্তানকে আয়া দেখাশোনা করে? মা-বাবাদের টিপস দিলেন প্রেমানন্দ মহারাজ

মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যস্ত জীবনের এই যুগে অধিকাংশ বাবা-মা সন্তানদের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করছেন। কিন্তু ভবিষ্যতের এই দৌড়ে বহু পরিবারই অজান্তে সন্তানদের বর্তমানকে উপেক্ষা করে ফেলছেন।

Advertisement
সন্তানকে আয়া দেখাশোনা করে? মা-বাবাদের টিপস দিলেন প্রেমানন্দ মহারাজ
হাইলাইটস
  • মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যস্ত জীবনের এই যুগে অধিকাংশ বাবা-মা সন্তানদের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করছেন।
  • কিন্তু ভবিষ্যতের এই দৌড়ে বহু পরিবারই অজান্তে সন্তানদের বর্তমানকে উপেক্ষা করে ফেলছেন।

মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যস্ত জীবনের এই যুগে অধিকাংশ বাবা-মা সন্তানদের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করছেন। কিন্তু ভবিষ্যতের এই দৌড়ে বহু পরিবারই অজান্তে সন্তানদের বর্তমানকে উপেক্ষা করে ফেলছেন। কাজের চাপে দিনের বড় অংশটাই বাবা-মা বাড়ির বাইরে কাটান, আর সন্তানরা বেড়ে ওঠে আয়ার তত্ত্বাবধানে। এতে ধীরে ধীরে শিশুর সঙ্গে বাবা-মায়ের আবেগগত দূরত্ব তৈরি হয়। এই প্রবণতার বিরুদ্ধেই সতর্কবার্তা দিলেন আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজ।

ভাইরাল ভিডিওতে মহারাজের বক্তব্য
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক বাবা তাঁর আড়াই বছরের মেয়েকে সময় দিতে না পারার কারণে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছেন। নতুন চাকরি ও ব্যস্ততার কারণে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে না পেরে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এর জবাবে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, সন্তানের কাছে অর্থ নয়, সবচেয়ে জরুরি বাবা-মায়ের সময়, স্নেহ আর আদর।

‘টাকা উপার্জনের চেয়ে সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ’
মহারাজ বলেন, 'আমরা যদি কারও জন্য টাকা উপার্জন করি অথচ তাকে সময় না দিই, সেই টাকার মূল্যই বা কোথায়?' তাঁর মতে, কম উপার্জন কোনও সমস্যা নয়, সমস্যা তখনই, যখন সন্তানকে পথ দেখানোর, বোঝানোর, ভালোবাসা দেওয়ার সময় আমরা বের করতে পারি না। শিশুর কাছে গৃহকর্মীর সেবা নয়, মায়ের স্নেহ ও বাবার যত্নই আসল নিরাপত্তা।

বাবা-মায়ের প্রতি পরামর্শ
মহারাজের স্পষ্ট বক্তব্য, 'পিতামাতার যত্ন কোনওভাবেই বাইরে থেকে কেনা যায় না।' তবে তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেননি। বরং বলেছেন, ব্যস্ততার মধ্যেও সচেতনভাবে সন্তানদের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় বরাদ্দ রাখাই সর্বাধিক জরুরি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক
এই বক্তব্য সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মহারাজকে সমর্থন করে বলেছেন, বাবা-মায়ের দায়িত্ব সমান। সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময়ই মূল চাবিকাঠি

শিশুর বিপথগামিতার বড় কারণ পরিবারের উদাসীনতা
অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন আধুনিক জীবনযাত্রার চাপের জন্য অনেক সময় বাবা-মা বাধ্য হন আয়ার উপর নির্ভর করতে। তাই সমালোচনার পরিবর্তে বাস্তবসম্মত সমাধান প্রয়োজন।

Advertisement

অভিনেতা সুধাংশু পাণ্ডের মতামত
এক পডকাস্টে টিভি অভিনেতা সুধাংশু পাণ্ডে বলেন, 'একটি বাড়িতে ১০০টি শিশু থাকলে ৯৫ জনকেই আয়ার সঙ্গে দেখি। ভয় পেলে তারা আয়ার কাছেই যায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।'
 

 

POST A COMMENT
Advertisement