প্রেমানন্দ মহারাজ।-ফাইল ছবিবর্তমান প্রজন্ম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরাম ও সুবিধা খোঁজে। সকালের স্নান থেকেও বাদ যায় না সেই অভ্যাস। কিন্তু এই আরামের অভ্যাসই যে মানুষকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে, এমনটাই মত দিলেন আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজ। এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কেন গরম জলে স্নান শরীর ও মনের শক্তি কমিয়ে দেয়। এবং ঠান্ডা জলে স্নান কেন ব্রহ্মচর্যের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, 'যদি তুমি গরম জলে স্নান করো, তুমি আরামের পথে হাঁটছো, আর এই আরামই তোমাকে দুর্বল করে দেবে।' তাঁর মতে, গরম জল যদিও তাৎক্ষণিক আরাম দেয়, তবে এটি শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অভ্যন্তরীণ শক্তিকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে। যখন মানুষ প্রকৃতির ঠান্ডাকে সহ্য করতে শেখে না, তখন সে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থানই আসল শক্তির উৎস
মহারাজ বলেন, 'মানুষের উচিত প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবনযাপন করা, তাকে এড়িয়ে নয়।' ঠান্ডা জলে স্নান শরীরকে প্রকৃতির কঠোরতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, মানসিক দৃঢ়তা আনে এবং ভেতর থেকে প্রাণশক্তি জাগিয়ে তোলে। এই শক্তিই একজন মানুষকে ব্রহ্মচর্য অনুশীলনে সহায়তা করে, যেখানে শক্তি সঠিক পথে প্রবাহিত হয়, মন ও শরীর থাকে নিয়ন্ত্রিত ও সচেতন।
ব্রহ্মচর্য মানে শুধুই সংযম নয়, আত্মশক্তির বিকাশ
মহারাজের মতে, ব্রহ্মচর্য কেবল যৌন সংযম নয়, এটি এক প্রকার আত্মনিয়ন্ত্রণ, যেখানে শরীর ও মন দুই-ই নিয়ন্ত্রিত থাকে। ঠান্ডা জলে স্নান সেই নিয়ন্ত্রণের প্রতীক। এটি শরীরকে তপস্যার মাধ্যমে পবিত্র করে, মনকে স্থির করে এবং আত্মবিশ্বাস জাগায়।