Quick Curd Making Tricks: গ্রীষ্মে (Summer) টক দই (Curd) খাওয়ার চাহিদা বাড়ে। বাটার মিল্ক, লস্যি, রায়তা খাওয়া হয় জমিয়ে। অনেকেই বাড়িতে দই বসাতে পারেন না। গরমে খাবারে দই প্রচুর ব্যবহৃত হয়। দইকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রতিদিন এক কাপ দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বাড়িতে দই বসাতে গেলে অনেকসময় ভালভাবে বসতে চায় না। এর জন্য কিছু উপায় আছে। সেই উপায়ে মাত্র ২ ঘণ্টায় দই বসাতে পারবেন।
বাড়িতে সহজে দই বসাবেন কীকরে? (Curd Making Tricks at home)
- দই সেট করতে সবথেকে ভাল মাটির পাত্রে বসানো। এতে দই সবথেকে ভাল সেট হয়।
- দই বসাতে, দুধ হালকা গরম করুন।
- হালকা গরম দুধে টক দই দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
- এরপর একটি পাত্রে হালকা গরম জল ঢেলে তাতে একটি মাটির পাত্র রেখে ঢেকে দিন।
- দইয়ের মধ্যে ৩-৪টি কাঁচা লঙ্কা দিতে ভুলবেন না। তাহলে দই ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।
- দইয়ের পাত্রটি হটকেসে সিল করে রাখতে পারেন। এতে দই দ্রুত সেট হয়ে যাবে।
- এভাবে দই জমালে তাড়াতাড়ি জমবে দই।
টক দই খেতে গিয়ে এই ভুল করবেন না
তবে টক দই খাওয়ার সময় এই ভুলগুলি করবেন না। তাহলে টক দই স্বাস্থ্যের কোনও উপকারেই লাগবে না। অনেকেই দই নুন এবং চিনি দিয়ে খান। এর মধ্যে কোনটি ভাল? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রতিদিন নুন দিয়ে দই খান, তাহলে আপনার কফ সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। যদি নুন মিশিয়ে দই খেতে পছন্দ করেন তাহলে এই কাজটি করতে পারেন একদিনের ব্যবধানে। নুন মিশিয়ে দই খেলে ডায়াবেটিস দূরে থাকে। অন্যদিকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর লবণ মিশিয়ে দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। চিনি এবং দই মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি যোগ করার পর দই খাওয়া উচিত নয়। পেটের জ্বালাপোড়া এবং অ্যাসিডিটিও দূরে রাখে। দই খেলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং পেটও ঠান্ডা থাকে।