বাঙালি হেঁশেলে রাঁধুনি খুবই প্রয়োজনীয় একটি মশলা। এই মশলা শুক্তো, মাছের ঝোল আবার গরমকালে পাতলা মুসুর ডালে আলাদা স্বাদগন্ধ যোগ করে এই রাঁধুনি। যদিও এটা মূলত পাঁচফোড়নের অংশ। বাঙালি হেঁসেলের অন্যতম অঙ্গ এই রাঁধুনি ফোড়নের হিন্দি নাম অজমোদ। অন্যান্য ভারতীয় মশলার মতো রাঁধুনিরও গুণ প্রচুর। এই মশলার গাছের পাতা পরিচিত সেলেরি হিসেবে। স্যালাডে এই পাতার উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যের জন্য এই মশলা খুবই উপকারী।
হজমে সাহায্য করে
হজম বা পরিপাক ক্রিয়া রাঁধুনি ফোড়ন খুবই উপকারী। বদহজম, গ্যাস, অম্বল, পেটের মাংসপেশির ক্র্যাম্প দূর করে এই মশলা। আয়ুর্বেদ মতে শরীর থেকে কফের প্রভাব দূর করে এই রাঁধুনি। শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে এই মশলা। এছাড়াও ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে এই মশলা।
হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় থাকে
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান থাকায় রাঁধুনি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে দেয় না। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস।
রাঁধুনি বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়
অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় শরীরে প্রদাহ রোধ করে রাঁধুনি মশলা। আর্থ্রাইটিস, আলসার-সহ অন্যান্য সমস্যায় উপশমকারী এই ফোড়ন। তাই রান্নায় এই মশলার ব্যবহার বেশ স্বাস্থ্যকর।
হাইপার টেনশন নিয়ন্ত্রণ করে রাঁধুনি
উচ্চরক্তচাপ বা হাইপার টেনশন নিয়ন্ত্রণ করে রাঁধুনি। পেশির সুস্থতা বজায় রাখে বলে গাঁটের যন্ত্রণা কমাতেও এই মশলা কার্যকরী।
আয়রনের যোগান দেয় রাঁধুনি
শরীরে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ। রাঁধুনি মশলা নিয়মিত ডায়েটে থাকলে আয়রনের যোগান বজায় থাকে। রক্তাল্পতায় ভুগলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে রাঁধুনি ফোড়ন খান।