শীতের মরশুম পড়ে গিয়েছে। আর শীতে মুলো একটি অন্যতম প্রধান সবজি। বিভিন্ন রান্না হোক বা স্যালাড, সবেতেই ব্যবহার হয় মুলোর। মুলোর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণও, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। মুলো হার্ট ও লিভারের জন্য খুবই ভাল। তবে বেশি মুলো খাওয়া আবার শরীরের জন্য বিপদও ডেকে আনতে পারে। মুলো বেশি খেলে হতে পারে অনেক রোগ।
হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি
মুলো বেশি খেলে থাইরোট্রপিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বাড়ায়। বেশি মুলো খাওয়া আয়োডিনের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করে। এছাড়াও মুলো বেশি খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির ওজনও বেড়ে যায়, যার কারণে থাইরয়েড হয়। তাই থাইরয়েড রোগীদের মুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া
মুলা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক কমে যেতে পারে। যদি সুগার খুব কম হয়ে যায়, তাহলে সেই অবস্থাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। এটি শরীরের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। তাই মুলো খান পরিমিত।
শরীরকে ডিহাইড্রেট করুন
মুলো শরীরে জলশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। মুলো খেলে প্রস্রাবের পরিমান বেড়ে যায়, যার কারণে শরীরে জলের অভাব তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশন শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এছাড়া মুলো খেলে শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। যার কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শরীরকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচিতে বেশি মুলে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
রক্তচাপের সমস্যা
মুলোয় উপস্থিত পুষ্টি উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যদি কেউ লো ব্লাড প্রেশারের রোগী হন তাহলে অবশ্যই তাঁর মুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ মুলো খেয়ে রক্তচাপ খুব কমে গেলে তা হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। মুলো অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে টেনশন, মাথা ঘোরা এবং নার্ভাসনেসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে মুলো যদি আপনার খুব প্রিয় সবজিও হয়, তাহলেও বেশি খাওয়ার আগে অবশ্যই ভাল করে ভেবে নিন।
আরও পড়ুন - কোলেস্টেরল থেকে সুগার, নিয়ন্ত্রণে রাখে তেজপাতার জল, কখন-কীভাবে খাবেন?