সম্পর্কের সামঞ্জস্য এমন একটা জিনিস যা খুব কম জুটির মধ্যে থাকে। শত ঝগড়া -অশান্তির পরেও কিছু স্ট্রং কাপল একে অপরের সঙ্গেই থাকে। তারা একে অপরের ভুল- ত্রুটি মানিয়ে নেন, দু'জন- দু'জনের পাশে থাকেন ও সম্মান করেন। কথায় বলে, 'জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে'। তবে সকলেই চান, দাম্পত্য যাতে সুখের হয়। যাদের বিয়ের পর বেশ কিছু বছর কেটে গেছে এবং যারা নব বিবাহিত, তাদের জন্য রইল সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি।
দু'জনের স্পষ্ট যোগাযোগ
স্বামী- স্ত্রীয়ের মধ্যে স্পষ্ট যোগাযোগ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যা অনুভব করছেন সে সম্পর্কে সৎ থাকুন। এক্ষেত্রে শুধু বক্তা হলে হবে না, শ্রোতা হওয়া জরুরি। নয়তো ছোটখাটো বিষয়ে মনোমালিন্য হতে পারে। এজন্যে সঙ্গীত সঙ্গে অবশ্যই নিজের সমস্ত চিন্তা- ভাবনা এবং অনুভূতি শেয়ার করুন।
জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কৃতজ্ঞতা স্বীকার
একে অপরের প্রশংসা করুন। সম্পর্ক, পরিবার এবং একসঙ্গে জীবন কাটানো নিয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন। সঙ্গী ডিনার তৈরি করলে, সন্তানকে হোমওয়ার্কে সাহায্য করুন। মাসিক বাজার- কেনাকাটা একসঙ্গে করুন। দিনের শেষে অন্তত কয়েক মিনিট সময় একে অপরকে দিন। সারাদিন কেমন কাটল, তা নিয়ে আলোচনা করুন।
একে অপরের জন্য সময়
কাজ এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে করতে, অনেক সময় দম্পতিদের মধ্যে রোম্যান্স হারিয়ে যায়। বিশেষ দিনগুলিতে সাধ্য মতো বাইরে খেতে যান। ছুটির দিনে বাড়িতে একসঙ্গে রান্না করুন। বা সঙ্গী রান্না করলে, পাশে দাঁড়ান।
ব্যক্তিগত সময়ে রাখুন
একান্তে সময় কাটানো যে কোনও দম্পতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহিত দম্পতিদের বিশেষ সময় কাটানো উচিত। বিশেষ করে যাদের সন্তান আছে, তারা কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারেন না। এই সমস্ত জুটির অবশ্যই আরও বেশি করে খেয়ার রাখা উচিত, ব্যক্তিগত সময়ের বিষয়ে।
মতবিরোধকে সম্মান জানান
এটাই স্বাভাবিক যে, দু'জনে সব কিছুতে একমত হবেন না। তবে মত বিরোধের সময় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর দৃষ্টিকোণ শুনুন। রাগ না করার চেষ্টা করুন এবং খুব হতাশ হবেন না। যদি প্রয়োজন হয়, তবে কিছুক্ষণ তার সামনে থেকে দূরে চলে যান এবং শান্ত হন। মাথা ঠান্ডা হলে, এরপরে সমস্যাটি নিয়ে আবার আলোচনা করুন।
বিশ্বাস রাখুন
ম্যারেজ থেরাপিস্ট এবং গবেষক জন গটম্যান, পিএইচডি, দেখেছেন যে সমালোচনা, অবজ্ঞা, মানসিক দূরত্ব বিয়ের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। কোনও দম্পতি যত বেশি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত, তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা তত বেশি। সম্পর্ক ভাল রাখতে, এজন্যে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং সেই বিশ্বাস অর্জন করা জরুরি।
ক্ষমা করতে শিখুন
আপনাকে মনে রাখতে হবে মানুষ মাত্রই ভুল করে। সঙ্গী অনুভূতিতে আঘাত দিলে, আপনি বিরক্ত হয়ে রেগে যেতে পারেন। কিন্তু এই অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করা গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলিকে ভুলে এগিয়ে যান। পুরানো কথা টেনে আনবেন না।