সুখী দাম্পত্য একটা কলা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য তালমিল খুব জরুরি। বিয়ের সময় সাত পাক ঘুরে সাতটি প্রতিজ্ঞা নেন স্বামী-স্ত্রী। এর মধ্যে অন্যতম পরস্পরের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি। বাস্তব জীবনে দু'জন মানুষের একসঙ্গে থাকা এবং পরস্পরকে বোঝা সহজ নয়! ছোট-বড় অনেক বিষয়েই মন কষাকষি হতে পারে। তিক্ত হয়ে ওঠে সম্পর্ক। বিয়ের প্রাথমিক দিনগুলিতে স্বামী-স্ত্রীকে মানিয়ে নিতে হয়। সেই সময় থেকে শুরু হয় সম্পর্কের যত্ন নেওয়া। তা সত্ত্বেও নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর জীবনে আসতে পারে উত্থান-পতন। খেয়াল রাখতে হবে, এমন কিছু করা উচিত নয় যা সঙ্গীর অপছন্দ। এ কথা স্বামীর পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে স্ত্রীকেও। সম্পর্ক মজবুত করতে হলে এমন ৫টি কথা কখনও স্বামীর কাছে বলবেন না। এতে বিষিয়ে যেতে পারে দাম্পত্য।
বাপের বাড়ির অতিরিক্ত প্রশংসা-মহিলারা প্রায়ই তাঁদের স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সামনে বাপের বাড়ির প্রশংসা করেন। অতিরিক্ত প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকুন। বাপের বাড়ির পরিজনদের সঙ্গে স্বামীর তুলনা টানবেন না। নিজের বাবার সঙ্গে স্বামীর তুলনা করা অনুচিত। এতে স্বামীর মনে হতে পারে আপনি তাঁর সঙ্গে খুশি নন। তাঁর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে।
শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে খারাপ কথা- অনেক মহিলাই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভুল ও ত্রুটি খুঁজে বের করেন। স্বামীর কাছে শাশুড়ি, শ্বশুর বা শ্যালকের ব্যাপারে নালিশ করেন। স্বামীর কাছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নিয়ে গসিপ করবেন না। এতে স্বামীর মনে হতে পারে, আপনি মানিয়ে নিতে পারছেন না। বা আপনাকে হিংসুটেও মনে হতে পারে। তাই ছোটখাট বিষয় এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন- স্বামী কেন স্ত্রীর থেকে বড়? বয়সের ফারাক কত হওয়া উচিত? যা বলছে বিজ্ঞান
অন্য কারও সঙ্গে স্বামীর তুলনা-অন্য কারও সঙ্গে স্বামীর তুলনা কখনও করবেন না। তাতে আপনার স্বামীর মন ভেঙে যায়। বিশেষ করে স্বামীর কাছে নিজের প্রাক্তনের কথা বেশি বলবেন না। প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনাও করবেন না। তাঁর মনে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। এমনকি দেখা দিতে আত্মবিশ্বাসের অভাবও! এতে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠবে। সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গও হতে পারে।
স্বামীর প্রতি মনোযোগ দিন- প্রত্যেক পুরুষই তাঁর স্ত্রীর পূর্ণ গুরুত্ব চায়। কোনও অনুষ্ঠান বা নেমন্তন্ন বাড়িতে গিয়ে স্বামীকে ভুলে যাবেন না। কাজে ব্যস্ত থাকলেও তাঁকে সময় দিন। একটা হোয়াটসঅ্যাপ করে জানুন স্বামী খেয়েছেন কিনা!
বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের নিয়ে এতটা ব্যস্ত হবেন না যে স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাতে ভুলে যাবেন। স্বামীর পাশে থাকুন। এটা না করলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন- প্রস্টেট থেকে মুখের ক্যানসার, মারণ রোগ থেকে বাঁচতে খান ৯ খাবার
প্রাক্তনের প্রশংসা- স্বামীর সামনে কখনও প্রাক্তনের কথা তুলবেন না। প্রাক্তনের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করবেন না। দরকারই নেই প্রাক্তনের কথা বলার। এমনকি গল্পচ্ছল্লেও প্রাক্তনের কথা মুখে আনবেন না। সেই আপনার অতীত, আর স্বামী বর্তমান। তাই বর্তমানে বাঁচুন। অতিরিক্ত প্রাক্তনের কথা বললে স্বামীর মনে হতে পারে আপনি প্রাক্তনকে ভুলতে পারেননি। প্রাক্তন আপনার জীবনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। কোনও পুরুষই স্ত্রীর মুখে প্রাক্তনের প্রশংসা শুনতে চান না।