সম্পর্কের টিপসসম্পর্কে রয়েছেন অনেকদিন। তবে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কি আদৌ লয়াল? সম্পর্কে ঝগড়া অশান্তি হতেই পারে। চরাই-উতরাই একটা সম্পর্কের স্বাভাবিক ধর্ম। ঝগড়া বা মনোমালিন্য চলাকালীন অনেক সময়ই এই সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ দেখা যেতে পারে। সে সময় মনে হয়, যাঁর জন্য এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, সেই মানুষটা আমাদের জন্য সঠিক তো? এটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।
ভুল বোঝাবুঝি
নানা ভুল বোঝাবুঝির পরও আপনারা যদি একসঙ্গে থেকে যান, তবে বুঝতে হবে আপনাদের জুটি অটুট। সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়া-অশান্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন। একে অপরের ভুলটা বোঝেন এবং সেটি স্বীকার করে নিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। দু’জনের দিক থেকেই সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখার সমান চেষ্টা দেখতে পাওয়া গেলে বুঝে নিতে হবে তিনিই আপনার এক জন।
যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সাহস
সঙ্গীর উপস্থিতিতে আপনার মনে শান্তি অনুভূত হয়। তাঁর প্রতি কোনও ভীতি কাজ করে না। বরং তাঁর কাছে মন খুলে সমস্ত কথা বলতে পারেন। সঙ্গী পাশে থাকলে মনে জোর নিয়ে যে কোনও পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সাহস পান।
মনের অবস্থা
আপনার মনের অবস্থা ঠিক কী? সেটা বলার আগেই সঙ্গী তা ধরে ফেলেন। একে অপরের সঙ্গে মনের গভীর মিল না থাকলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। আপনার ভাল লাগা, খারাপ লাগার সম্মান করেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার সম্পূর্ণ চেষ্টাও করেন।
বাকি জীবন কাটাতে চাওয়া
আপনার ষষ্ঠেন্দ্রিয় আপনাকে বলে চলে যে এই মানুষটাই সেই মানুষটা যাঁর সঙ্গে আপনি বাকি জীবনটা কাটাতে চান। যদি কঠিন মুহূর্তেও এমনটাই মনে হয়, তা হলে বুঝবেন আপনার বর্তমান সঙ্গীই আপনার জীবনসঙ্গী। রাগের মুহূর্তেও তাঁর প্রতি আপনার ভালবাসা ও মনের টান কমবে না।
তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি
কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কের ভাঙন ঘটাতে চাইলেও তিনি সফল হন না। সঠিক মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন এতটাই মজবুত হয় যে তা সহজে ভেঙে ফেলা যায় না। এ ক্ষেত্রে স্বয়ং দৈবশক্তি সম্পর্কের রক্ষক হিসাবে কাজ করে বলে মনে করা হয়।