প্রেমে বয়স বলে কিছু নেই! অসম বয়সেও প্রেমের সাগরে ভাসা যায়। আবার জীবনের যে কোনও প্রান্তে মনের মানুষের সঙ্গে বাঁধা যায় গাঁটছাড়াও। কত বয়স থাকলে সম্পর্ক বেশিদিন টেকে? এনিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? সম্পর্ক শুরুর সময় অর্থাৎ পূর্বরাগ সকলেরই বেশ কাটে। তার পর প্রেম প্রস্তাব দেওয়া-নেওয়া। দু'তরফে রাজি হলে শুরু হয় জমাটি প্রেম। কিন্তু সব প্রেম চিরকাল টেকে না। প্রাথমিক আকর্ষণ কাটিয়ে বাস্তবের রূঢ় মাটিতে ধাক্কা খায় প্রেম। অনেকের আবার বিয়ের পর প্রেম হারিয়ে যায়। বিয়ে বা প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স একটা 'ফ্যাক্টর'। প্রেম বা বিয়ে টেকাতে আদর্শ বয়স কত? তা উঠে এল একটি গবেষণায়।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর থেকে তাঁর স্ত্রী ২৫ বছরের বড়। আবার নিক জোনাসের চেয়ে বড় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সইফ আলি খান ও করিনা কাপুরের বয়সের ফারাক ১০ বছর। রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের বয়সেও বিস্তর ফারাক। অসম বয়সী এই সম্পর্কগুলি কিন্তু বেশ টিকে রয়েছে। সম্প্রতি ৩০০০ জনকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। সেখানে ৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক, ১০ বছরের ফারাক ও সময়বয়স্কদের সম্পর্ক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বয়সের ফারাক ৫ থেকে ৭- এখন অনেক ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষের মাঝে বয়সের ফারাক ৫ থেকে ৭ বছর দেখা যায়। গবেষণা বলছে ১৮ শতাংশ ক্ষেত্রে এই বয়সের ফারাক থাকলে বিচ্ছেদ হতে পারে।
বয়সের ফারাক ১০ বছর- এখন ১০ বছর বয়সের ফারাক প্রায় নেই বললেই চলে! দুই ব্যক্তির মধ্যে বয়সের ফারাক ১০ বছর বলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ। কারণ বয়সের ফারাক বেশি হলে মতের অমিল বেশি করে ধরা পড়ে।
২০ বছরের ফারাক-বয়সের ফারাক ২০ হলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ।
আদর্শ বয়সের ফারাক- গবেষণা বলছে, আদর্শ বয়সের ফারাক হাওয়া উচিত ১ থেকে ৩ বছর। তাহলে সম্পর্ক বেশিদিন টেকে। বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে ৩ শতাংশ। সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমেই।
সম্পর্কে সন্তানের ভূমিকা- গবেষণায় বলা হয়েছে,সন্তানের সঙ্গেও যোগ রয়েছে সম্পর্কের। বিয়ের আগে সন্তান এলে সম্পর্ক বেশি টেকসই হয় বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণাপত্রে।