কুকুর প্রভুভক্ত প্রাণী। কুকুরের মধ্যে রয়েছে এমন গুণ যা মানুষেরও দেখে শেখা উচিৎ। আপনি কি জানেন কুকুরের মধ্যে এমন কয়েকটি গুণ রয়েছে যা প্রিয় পুরুষের মধ্যে থাকলে খুশি হন মহিলারা। সন্তুষ্ট হন প্রেয়সী। কুকুরের ৫ গুণ থাকলেই প্রেয়সীকে সন্তুষ্ট করতে পারেন পুরুষরা। এটা বলে গিয়েছে খোদ চাণক্যই। চাণক্যর কথা তো আর হেলাফেলার নয়! প্রেমিকাকে খুশি করতে হলে পুরুষরা তাই জেনে নিন কুকুরের কোন কোন গুণ তাঁরা নিজেদের মধ্যে আনবেন।
কুকুরের এমন অনেক গুণ রয়েছে, যা বাকি পশুদের থেকে তাদের আলাদা করেছে। এটা চাণক্যও বলে গিয়েছেন। কী বলেছেন তিনি? চাণক্যর মতে, একজন পুরুষের মধ্যে কুকুরের ৫টি গুণ থাকলে সবসময় খুশি থাকবেন তাঁর প্রেয়সীরা। এই ধরনের গুণ থাকা পুরুষ পাশে থাকলে জীবন হয়ে ওঠে সুখের। পরিবারে আনন্দ থাকে। আসে সমৃদ্ধি। ঘরের লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটে। পুরুষের মধ্যে এই ৫ গুণ কী কী?
অল্পে সন্তুষ্ট- অল্পে সন্তুষ্ট থাকা একটি গুণ। কোনও মানুষকে নিজের আর্থিক অবস্থা বোঝা উচিত। কাজ করে যে টাকা আয় করবেন তাতেই খুশি থাকা উচিৎ। উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে হবে। এই ধরনের পুরুষই শ্রেষ্ঠ। যেমন- একটি কুকুর যে পরিমাণ খাবার পায়, তাতেই সে সন্তুষ্ট হয়। তাই কোনও মানুষেরও উচিত নিজের আয়ে সন্তুষ্ট হওয়া। অতিরিক্ত লোভ মানুষের ভরাডুবির কারণ হয়ে ওঠে। সে সামলাতে পারে না। যার অল্পে খুশি হওয়ার প্রবণতা নেই সে এক নারীতেও সন্তুষ্ট হতে পারে না। তাই যে পুরুষ অল্পে খুশি হয় সে এক নারীকেই ভালবেসে যেতে পারে, একাধিক নারীর দরকার পড়ে না।
সতর্ক- গভীর ঘুমের মধ্যেও সজাগ থাকে কুকুর। তার ঘ্রাণশক্তি প্রবল। নড়নচড়ন হলেও সহজেই বুঝে নেয়। এই গুণটাই শিখতে হবে পুরুষকে। তাঁর পরিবার-স্ত্রী এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তাঁকে সতর্কও হতে হবে। সর্বদা শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন। নিজের পরিবারকে যিনি আগলে রাখতে পারেন বিপদে-আপদে তিনিই তো আসল পুরুষ।
আনুগত্য- কুকুর আনুগত্য প্রশ্নাতীত। সে প্রভুর জন্য প্রাণ দিতে পারে। সবসময় অনুগত হয়ে থাকে। বাইরের লোকের শত প্রলোভনেও পা দেয় না। কুকুরের থেকে এটাই শেখার পুরুষের। চাণক্য বলছেন, সুখী দাম্পত্যের নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা ও আনুগত্য। নারী সবসময় পুরুষের কাছ থেকে আনুগত্য কামনা করে। পুরুষ যখন এক নারীর প্রতিই অনুগত থাকেন আজীবন তখন সংসার সুখের হয়। লক্ষ্মী বাস করে সেই সংসারে।
সাহসী- কুকুর একটি সাহসী প্রাণী। প্রভুর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। সে বিপদ কতটা তার পরোয়া করে না। একজন পুরুষেরও সাহসী হওয়া উচিত। যে পুরুষ তাঁর প্রেয়সী বিপদেআপদে ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতে পারেন তাঁকে পেলে নারীর জীবন স্বর্গ হয়ে ওঠে।
নারীকে খুশি রাখা- নিজের প্রেয়সীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেখা পুরুষের প্রাথমিক কর্তব্য। আদর্শ পুরুষ তাঁর প্রেয়সী কথা শোনেন। বিরোধিতা করলেও যুক্তি দিয়ে করেন। মহিলার সঙ্গে মানসিকভাবে পাশে থাকেন। যে কোনও ব্যাপারে সমর্থন করেন। অভাব-অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন যে পুরুষ তিনিই আদর্শ প্রেমিক। যেমন কুকুর প্রভুর মন খারাপ হলে সে বুঝতে পারে, নানাভাবে খুশি করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন- পুজোর আগে সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর, কলকাতায় খুলছে মদের শপিংমল, কোথায়?