ফলের রাজা আম। গরমকালে এই রসালো ফল ছাড়া জমে না বাঙালির রসনাতৃপ্তি। আর জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে ফলাহারের অন্যতম আম। আম পুষ্টিগুণেও ঠাসা। আমে রয়েছে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবার। যা স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমকে করে তুলেছে এক নম্বর ফল। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খাওয়ার আগে কিছু বিষয়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে বিবিধ শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জেনে নিন জামাইকে আম দেওয়ার আগে জেনে নিন কীভাবে আম খেয়ে রোগবালাই দূরে রাখবেন।
১। রাসায়নিক আম নয় তো- আম খাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম খাচ্ছেন নাকি রাসায়নিকভাবে পাকা আম! কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই কার্বাইড দিয়ে পাকা আম চিনতে হবে। কীভাবে?
ক) খোসা দিয়ে চিনুন- আম প্রাকৃতিকভাবে পাকানো হলে খোসায় কোনও দাগ থাকে না। কার্বাইড দিয়ে পাকা আমে থাকে দাগ।
খ) আমের গঠন- আম কেনার সময় হাত দিয়ে দেখে নিন শক্ত না নরম! নরম হলে বুঝবেন প্রাকৃতিকভাবে পাকা। আর শক্ত হলে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো। অতিরিক্ত নরম আম মানে পচা। ফুটবলের মতো গোলাকার আম মিষ্টি হয়।
গ) আমের গন্ধ- রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমে গন্ধ থাকে না। গাছে পাকা আমে থাকে। তাই কেনার সময় ডাঁটির গন্ধ শুঁকে নিন।
২। অতিরিক্ত আম নয়- বেশি পরিমাণে আম খাবেন না। কারণ আমে রয়েছে শর্করা। যা শরীরের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীরা এড়িয়ে চলুন। খেলেও মাত্রা রাখুন। অতিরিক্ত আম খেলে পেটের ব্যমোও হতে পারে। আমে থাকা উপাদান হজমে সমস্যা তৈরি করে।
৩। আমের খোসা ছাড়িয়ে খান- আম খান খোসা ছাড়িয়ে। জামাইকে আম দেওয়ার আগে ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে দিন। আমের খোসায় অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে। যা শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। খোসার ফোর্টিফাইড রসে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে।
৪। যেভাবে আম জামাইকে দেবেন- রস করার চেয়ে তাজা আম খান। সেটা বেশি উপকারী। আমের খোসা ছাড়িয়ে জামাইকে আম খেতে দিন। তার আগে ভালো করে আম ধুইয়ে নিন। খুব ভালো হয় যদি আম কাটার আগে অনেকক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখেন। এতে আম রাসায়নিকভাবে পাকানো কিনা তা-ও বুঝে যাবেন। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম জলের উপর ভেসে ওঠে। জলে আম ভিজিয়ে রাখলে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ফাইটিক অ্যাসিড এবং আমের খোসায় লেগে থাকা রসকে দূর করে।