
ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল হয়েছিল কলকাতা। রেকর্ড বর্ষণে তাল কেটেছিল পুজোর আমেজের। তবে ধীরে ধীরে আবার ছন্দে ফিরছে কল্লোলিনী। শহরে আবার নতুন করে পুজো নিয়ে তোরজোর শুরু হয়েছে। সব বয়সীরাই কষে নিচ্ছেন প্যান্ডেল দেখার ছক। ঠিক কোন দিন কোন প্যান্ডেল দেখা হবে, সেটার পরিকল্পনা চলছে জোরকদমে।
তবে মুশকিল হল, কয়েকটি প্যান্ডের পায়ে হেঁটে ঘোরার পর অনেকেরই পায়ে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তারপর পরেরদিনটা তাঁরা যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। কিন্তু সেই সমস্যা থেকে বেরনোর রাস্তা খুঁজে পান না।
যদিও এই সমস্যার একটা সহজ সমাধান খুঁজে দিতে চলেছে বাংলা.আজতক.ইন। আমাদের পক্ষ থেকে কথা বলা হয়েছিল বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্রের সঙ্গে। তিনি আমাদের পায়ে ব্যথা মুক্তির সহজ কিছু রাস্তা দেখিয়েছেন।
আইসপ্যাক দিন
ব্যথাকে কাবু করতে আপনার প্রধান হাতিয়ার হতে পারে বরফ। এক্ষেত্রে বরফ দেওয়ার ফলে সেই জায়গাটিতে প্রদাহ কমবে। যার ফলে উবে যাবে বাতের ব্যথা। এমনকী ফোলা ভাবও দূর হবে বলে জানালেন আশিসবাবু।
তবে চেষ্টা করবেন ওই জায়গাতে সরাসরি বরফ না দেওয়ার। তার বদলে কোনও কাপড়ে বরফ জরিয়ে নিয়ে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
প্যারাসিটামলই মহৌষধি
আশিসবাবু বলেন, 'ব্যথা কমানোর জন্য নিজের বুদ্ধিতে কোনও ভাবেই পেইনকিলার খাওয়া যাবে না। তাতে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তার বদলে খেতে পারেন প্যারাসিটামল ট্যাবলেট। দিনে ১০০০ পাওয়ারের ২-৩টি প্যারাসিটামল খেলেই লাভ পাবেন।'
তবে এর বেশি খাওয়া যাবে না। এই ভুলটা করলে আদতে ভুগবেন।
ব্যথার স্প্রে বা মলম চলতে পারে
বাজারে কিছু জেনেরিক ব্যথার স্প্রে বা মলম পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে সমস্যা কমতে পারে কিছু। তবে এই ধরনের ওষুধে খুব একটা লাভ মেলে না বলেই মত দিলেন ডাঃ মিত্র।
সমস্যা প্রতিরোধে যা করবেন...
কথায় আছে, প্রিভেনশনস ইজ বেটার দ্যান কিওর। সেক্ষেত্রে ব্যথা এড়াতে মেনে চলুন এই সব পরামর্শ-
১. হাঁটার অভ্যাস না থাকলে একনাগাড়ে অনেক ক্ষণ হাঁটবেন না। ১০ থেকে ১৫ মিনিট হেঁটে বিশ্রাম নিন।
২. চেষ্টা করুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি না হাঁটার।
৩. একটা ভালো মানের জুতো পরে হাঁটুন। তাতে পা সাপোর্ট পাবে। সমস্যার আশঙ্কা কমবে।
আর যাঁদের অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ব্যথা রয়েছে, তাঁদের যতটা সম্ভব কম হাঁটতে বললেন ডাঃ মিত্র।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।