scorecardresearch
 

Restlessness Cure: হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে উঠছে? হার্টের অসুখ নাকি! এই ৮ উপায়ে পান মুক্তি

খানিকটা হাঁটলে বা কোনও কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে ওঠে অনেকের। বুক ধড়ফড় করা মানেই কি হৃদরোগ? আসলে অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, বুক ধড়ফড় করা শব্দগুলো শুনলেই হার্ট অ্যাটাকের কথাই মাথায় আসে।

Advertisement
বুক ধড়ফড় করলে কী করবেন? বুক ধড়ফড় করলে কী করবেন?
হাইলাইটস
  • বুক ধড়ফড় করা মানেই কি হৃদরোগ?
  • কোন উপায়ে নিরাময়?

ব্যস্ত জীবন। সেই সঙ্গে অফিসের চাপ। মাসের শেষে টার্গেট। সম্পর্কের উত্থান-পতন তো আছেই। এসব কিছুর কারণে বেড়েছে হতাশা, মানসিক চাপ ও টেনশন। পারিবারিক অশান্তি, অফিসের সমস্যা, অর্থের আকাল, বন্ধুত্ব-প্রেমে প্রতারণার কারণে বাড়ে মানসিক চাপ। অত্যাধিক টেনশনের জন্য প্রায়ই অস্থির বা নার্ভাস বোধ করেন অনেকে। এমনটা হলে জীবনযাপনে কয়েকটি বদল দরকার। 

খানিকটা হাঁটলে বা কোনও কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে ওঠে অনেকের। বুক ধড়ফড় করা মানেই কি হৃদরোগ? আসলে অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, বুক ধড়ফড় করা শব্দগুলো শুনলেই হার্ট অ্যাটাকের কথাই মাথায় আসে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে,থায়রয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে শর্করা কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, শারীরিক দুর্বলতা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও বুক ধড়ফড় করে থাকে। 

হঠাৎ বুক ধড়ফড় করলে কী করবেন? 

- নাক ও মুখ বন্ধ করে দীর্ঘ শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকুন।
- ধ্যান করতে পারেন।
- চোখেমুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। 
- লো প্রেসার থাকলে শরবত, সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন।
 

জীবনে মানসিক চাপ বাড়ার কারণে অস্থিরতা ও নার্ভাস লাগতে থাকে। বুক ধড়ফড় করে ওঠে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা জরুরি। সেই সঙ্গে ছাড়তে হবে খারাপ অভ্যাস। কারণ এগুলি অস্থিরতার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। যা বদল করতে হবে-  

১। অ্যালকোহলে না 

মদ্যপানের প্রবণতা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনেকে নিজেকে আধুনিক দেখাতে গিয়ে মদ খান। মদ্যপান অভ্যাসে পরিণত হলে উদ্বেগজনক। এতে উপস্থিত রাসায়নিক দীর্ঘমেয়াদে আপনার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহলের কারণে স্নায়ু দুর্বল হয়। 

২। মিষ্টিতে না

মিষ্টি জিনিস আকর্ষণ করে। তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। নিয়মিত মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বাড়ে টেনশন। সেজন্য মিষ্টি ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়। একেবারে ছাড়তে না পারলে নিয়ন্ত্রণ করুন। 

Advertisement

৩। সিগারেটে না

মদের মতো সিগারেট খাওয়ার প্রবণতাও উর্ধ্বমুখী। কিন্তু সিগারেট শুধু ফুসফুসেরই ক্ষতি করছে না সরাসরি প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কে। ফলে অস্থিরতা বাড়ে। স্নায়ু দুর্বল হয়ে ওঠে। 

৪। প্রক্রিয়াজাত খাবারে না

বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। মুখরোচক খাবার সাধারণ প্রক্রিয়াজাত হয়। সেজন্য পেটের গোলমালও দেখা দেয়। তাই ফল খান বেশি করে। 

৫। এছাড়া যা করবেন

- অতিরিক্ত কফি বা চা খাবেন না।
-অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা নয়।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। 
- নিয়মিত ধ্যান করতে পারেন।   

আরও পড়ুন- ব্রেকআপের পর এই ৪ কাজ করেন মেয়েরা, প্রাক্তনকে যেভাবে ভোলেন....

Advertisement