Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ভ্যাক্সিন আবিস্কার করে ফেলল রাশিয়া, মারণ রোগ থেকে মিলবে মুক্তি!

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি (FMBA) ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্যান্সার এখন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকেই।

Advertisement
ক্যান্সারের ভ্যাক্সিন আবিস্কার করে ফেলল রাশিয়া, মারণ রোগ থেকে মিলবে মুক্তি!মহিলা টিকা নিচ্ছেন

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি (FMBA) ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্যান্সার এখন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকেই।

FMBD প্রধান ভেরোনিকা স্কভোসোভা বলেন যে রাশিয়ান এন্টারোমিক্স ক্যান্সার ভ্যাকসিন এখন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এই mRNA-ভিত্তিক ভ্যাকসিনটি তার সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করে সমস্ত প্রাক-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার (কোলন ক্যান্সার)।

টিকাটি সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে
রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন দুর্দান্তভাবে কাজ করেছে, এফএমবিএ প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্তসোভা ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে (ইইএফ) এই ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা টিএএসএস জানিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা অনুমোদনের অপেক্ষায়

স্কভোসোভা বলেন, 'এই গবেষণা বেশ কয়েক বছর ধরে চলেছিল, যার মধ্যে শেষ তিন বছর শুধুমাত্র বাধ্যতামূলক প্রিক্লিনিক্যাল গবেষণা চলেছে। ভ্যাকসিনটি এখন থেকেই ব্যবহার করা যাবে। আমরা শুধু সরকারী অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলির আগে যে কাজ থাকে সে সমস্ত কাজ হয়ে গিয়েছে। বারবার ব্যবহারের পরেও ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। গবেষকরা এই সময়ের মধ্যেই টিউমারের আকার কমানো এবং টিউমারের বৃদ্ধির হার কমানোর কাজ কয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও, গবেষণায় ভ্যাকসিনের কারণে রোগীর বেঁচে থাকার হার বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

ক্যান্সার রুখতে নোয়া ভ্যাকসিন
ক্যান্সার রুখতে নোয়া ভ্যাকসিন

যে কোনও টিকার কাজই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলা। শরীরে যদি কোন বি জাতীয় প্রোটিন প্রবেশ করে তাহলে শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করে। ক্যান্সারের সময় শরীরে নিজস্ব কোষগুলিই শত্রু হয়ে ওঠে। ফলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজন শুরু হয়। এর ফলে টক্সিন তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে থামাতে হলে দুটি জিনিসের প্রয়োজন, একটি হল অ্যান্টিবডি, অন্যটি ইমিউনোসাইট।

ইমিউনোসাইট আবার সেইসব কোষ যারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে এই ইমিউনোসাইট। ফলে বিভিন্ন কোষ শক্তিশালী ও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই ইমিউনোসাইট কোষগুলিকে সক্রিয় করে তুলতেই টিকা বা প্রতিষেধক তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি তাদের তৈরি টিকা ইমিউনোসাইটকে অধিক মাত্রায় এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। হলে ক্যান্সারের কোষ আর তৈরি হবে না। যদিও রাশিয়ায় তৈরি টিকা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি যে এটি সত্যিই কাজ করবে কিনা। এর জন্য দরকার আরও কয়েক পর্যায়ের পরীক্ষা। সেগুলি সম্পন্ন হওয়ার পরেই রাশিয়া এই বিষয়ে ঘোষণা করবে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement