Mrs. India Universe 2022: বিয়ের পরে ভারতীয় মহিলাদের মনোযোগ বেশিরভাগই সংসার এর দিকে চলে যায়। অনেকে চাকরি-বাকরি করেন। তাতে অবশ্য সংসারের ফোকাসটা নড়ে যায় না। অনেক ক্ষেত্রে এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা বিয়ের পরেও সংসার সামনে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে চলেন সাফল্য়ের পথে।
আজকে আমরা এমন একজন মহিলার বিষয়ে আলোচনা করব, যিনি বিয়ের ২২ বছর পর নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। এই মহিলা ছোট থেকেই ফ্যাশন ফিল্ডে নাম করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাকেচক্রে তা হয়নি। তার মধ্যে তার উপযুক্ত বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। তখন তিনি ৪২ বছর বয়সে মিসেস ইউনিভার্স ২০২২ এর খেতাব জিতে নিয়েছেন।
কে এই মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০২২ এর খেতাবজয়ী?
মিসেস ইউনিভার্স ২০২২ এর খেতাবজয়ী লেডির নাম শ্বেতা যোশি (Shveta Joshi Dahada). তিনি aajtak.in সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন যে, তাঁর জন্ম অমৃতসরে হয়েছে এবং তা স্কুল কলেজের পড়াশোনাও অমৃতসরেই করেছেন। বিয়ের পর তিনি বি-এডও করেছেন। তার স্বামীর পোস্টিং হায়দ্রাবাদে। তাঁর নাম কর্নেল রমন দাহাড়া। আমার স্বামী আমাকে সমস্ত পরিস্থিতিতে সাপোর্ট করেছেন এবং সঙ্গ দিয়েছেন।
শ্বেতা জানিয়েছেন, আমার মনে সব সময় ফ্যাশন ফিল্ডের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল। আমি বিয়ের পরেও আর্মি ইভেন্টগুলিতে অনেকবারই পার্টিসিপেট করেছি। কিন্তু ইন্ডিভিজুয়ালভাবে এটি আমার প্রথম কম্পিটিশন ছিল।যাতে প্রথমবারই আমি মিস ইউনিভার্স ২০২২ এর খেতাব জিতে নিয়েছি।
১৯ বছরের মেয়ে ও ১৫ বছরের ছেলের মা
শ্বেতা জানিয়েছেন, তাঁর ১৯ বছরের মেয়ে রয়েছে এবং একটি ১৫ বছরের ছেলে রয়েছে। আমি এই ফিল্ডে আরও আগে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব বাচ্চাদের দেখাশোনা সব মিলিয়ে তা অল্প বয়সে হয়ে ওঠেনি। এই কারণে আমার শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে আমার মাথায় আসে, আমাকে কিছু না কিছু তো করতে হবে। সুপ্ত ইচ্ছা পূরণের তখন সুযোগ আসে, যখন আমার ছেলে মেয়েরা নিজেদের কাজ নিজে করে নিতে শুরু করে। এরপরে আমি কম্পিটিশনের বিষয়ে জানতে পারি এবং জয়পুরে আয়োজিত মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০২২ এর ফাইনাল ইভেন্টে দিন আমার নাম প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে উইনার ঘোষণা করা হয়।
পেশাগতভাবে ফিটনেস ট্রেইনার শ্বেতা
শ্বেতা জানিয়েছেন যে, তিনি আট বছর আগে ফিটনেস সার্টিফিকেশন করেছেন। এরপর তিনি আর্মি ক্যাম্পে আর্মি পরিবারকে ফিটনেস ট্রেনিং দেন। আমি সবসময় ফিটনেস নিয়ে অত্যন্ত সচেতন। পরিবার সংসারের ফাঁকেও আমি ফিটনেসের চর্চা করে চলেছি। যা আমাকে এই প্রতিযোগিতায় ফিট থাকতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। আমি কোন এনজিওর সঙ্গে জড়িত হতে চাই, যাঁরা ফিটনেসের জন্য মহিলাদের উৎসাহিত করে এবং কাজ করে।