
কিছু লোকের জন্য সম্পর্ক ম্যানেজ করা খুব কঠিন। এর জন্য অনেক ভারসাম্য প্রয়োজন। আগেকার যুগে সম্পর্কগুলো অনেকদিন টিকে থাকত কারণ মানুষকে সেগুলো টিকিয়ে রাখতে হতো, কিন্তু বর্তমান সময়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকেই আছেন যারা তাদের সঙ্গীকে খুব ভালোবাসেন কিন্তু বিনিময়ে তারা তার প্রাপ্য ভালোবাসা পান না।
এমন কিছু সময় আছে যখন আপনি কাউকে নিঃশর্ত ভালোবাসেন এবং সেই ব্যক্তি আপনাকে মোটেই মনোযোগ দেন না। সেক্ষেত্রে খুব খারাপ লাগে। এ ধরনের সম্পর্ককে বলা হয় একতরফা বা ওয়ান সাইড সম্পর্ক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক একতরফা কি না। এছাড়াও কীভাবে একতরফা সম্পর্ক ঠিক করবেন, জেনে নিন।
একতরফা সম্পর্কের লক্ষণ-
পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা এবং একে অপরের যত্ন নেওয়া যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকেই চায় যে সে তার সঙ্গীকে যেমন ভালবাসা দেয় তার বিনিময়ে সেও একই ভালবাসা পান। কিন্তু অনেক সময় তা হয় না। অনেকেই সঙ্গীকে খুব ভালোবাসেন কিন্তু বিনিময়ে ভালোবাসা পান না, যাকে বলা হয় একতরফা ভালোবাসা। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি কিছু উপায়ে একতরফা প্রেম খুঁজে পেতে পারেন।
একতরফা প্রচেষ্টা করা
প্রায়শই সম্পর্কের ক্ষেত্রে দম্পতিরা একে অপরকে উপহার দেয়, সারপ্রাইজের পরিকল্পনা করে, কিন্তু আপনি যদি এটি শুধুমাত্র আপনার সঙ্গীর জন্য করেন এবং তিনি আপনার জন্য কিছুই না করেন, তাহলে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক একতরফা।
প্রায়োরিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা
আপনার সঙ্গী যদি আপনার চেয়ে অন্যদের অগ্রাধিকার দেয় এবং আপনার কথা অগ্রাহ্য করে এবং অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে, তাহলে বুঝুন আপনি একতরফা সম্পর্কের মধ্যে আছেন।
ভুল করেও ক্ষমা চাইবেন না
প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে রাগ করা ও মান ভঞ্জন চলে। কিন্তু একতরফা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজনকেই কেবল মানিয়ে নিতে হয়। অনেক সময় ভুল না থাকলেও একই ব্যক্তিকে ক্ষমা চাইতে হয়।
কীভাবে একতরফা সম্পর্ক ঠিক করা যায়
সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন- প্রায়শই লোকেরা সঙ্গীর রেগে যাওয়ার ভয়ে তাকে কিছু বলেন না, তবে আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ভালবাসা কেবল একতরফা, তবে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো আপনার কথা শোনার পর সে আপনার সঙ্গে ভালো থাকতে শুরু করবে।
পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিন
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি একতরফা সম্পর্কের মধ্যে আছেন, তাহলে এর জন্য পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিন। এটা আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করবে।