একটা সময় ৪০ বছরের পর হার্ট অ্যাটাক হত। এখন তার চেয়েও কম বয়সে হার্ট হচ্ছে অনেকের। সেই সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। আগে থেকে কোনও উপসর্গের দেখাও মিলছে না। কেন এমনটা হচ্ছে? আসলে মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলে গিয়েছে। কম ঘুমোনো। পরিশ্রমের পরেও পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া। সেই সঙ্গে অফিসের চাপ। অল্প বয়সেই হৃদরোগের শিকার হচ্ছেন অনেকে। আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনাও ক্রমবর্ধমান। এমনকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত যুবকদের রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের কোনও সমস্যা নেই। তবুও তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। কেন জানেন?
সম্প্রতি ৩২ বছর বয়সের এক ব্যক্তি গাড়ি চালানোর সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হন। ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট মুকেশ গয়াল জানিয়েছেন,ওই যুবককে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল,তখন তাঁর ধমনীর প্রায় ১০০ শতাংশ ব্লক ছিল। সময়মতো এনজিওপ্লাস্টি করে রোগীকে রক্ষা করা হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে এত কম বয়সে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন কীভাবে?
গয়াল জানান,'এই তরুণ রোগীর নীরব হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। নীরব হার্ট অ্যাটাক ধমনীতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্লেক সৃষ্টি করতে পারে। এই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা যায় না। নীরব হার্ট অ্যাটাকেও কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক বা ততটা বিপজ্জনক না-ও হতে পারে। এই সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। স্ট্রেস রক্তকে জমাট বাঁধার দিকে নিয়ে যায়। এই জমাট অল্প সময়ের মধ্যে বড় হয়ে যেতে পারে। যে কারণে ধমনীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।'
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক এড়াতে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন-
- যুবকরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন।
- নীরব হার্ট অ্যাটাক এড়াতে নিয়মিত চেকআপ করুন। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, রক্তচাপ, সুগার এবং কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন।
- বদহজম বা অ্যাসিডিটির কারণে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
- বিপির সমস্যা থাকলে নিয়মিত বিপি পরীক্ষা করতে থাকুন। ওষুধ খেতে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং শরীরকে সচল রাখুন।
- মদ ও সিগারেটের মতো নেশার অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
আরও পড়ুন-কোলেস্টেরল-সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এই ফল, টিপস দিয়েছিলেন মমতা