প্রতীকী ছবি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া পরিশোধিত মাখন হল ঘি। খাবারের স্বাদ- গন্ধ বৃদ্ধিতে রান্নায় ঘি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি-এর তুলনা নেই। প্রাচীনকাল থেকে ঘি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদে ঘিকে সুপারফুডের তকমা দেওয়া হয়। স্বাদ ছাড়াও ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। রূপচর্চাতেও ঘি-এর জাদুকরী গুণ রয়েছে।
আধুনিক জীবনে নিজেকে ফিট ও স্লিম রাখার কারণে অনেকেই ঘি ব্যবহার থেকে দূরে থাকেন। আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তবে এখনই সময় ডায়েটে ঘি যোগ করার। খুব কম মানুষই জানেন যে, ঘি এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে। জেনে অবাক হবেন যে, ঘি ব্যবহার করে আপনি ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বলিরেখা দূর করে
ঘি শুধুমাত্র খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং আপনার ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ রাখতেও সাহায্য করে। আসলে ঘি-তে ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
শুষ্ক ত্বক দূর করে
আপনার যদি শুষ্ক ত্বক থাকে, তাহলে ঘি আপনার সমস্যার সমাধান। শুষ্ক ত্বক থেকে আরাম পেতে কয়েক ফোঁটা ঘি দিয়ে ত্বকে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বক কোমল হবে।
ঠোঁট নরম করে
ঘি লিপবামের মতো কাজ করে। অনেকেই ঠোঁটে ঘি লাগান। এ কারণে ঠোঁট গোলাপি হওয়ার পাশাপাশি নরম থাকে।
ডার্ক সার্কেল দূর করে
যদি আপনার চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল বেশি দেখা যায়, তাহলে চিন্তা করবেন না। বরং ১-২ ফোঁটা ঘি দিয়ে চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করুন। ডার্ক সার্কেল কমবে। তবে খেয়াল রাখবেন চোখে যেন ঘি না ঢুকে যায়।
ময়েশ্চারাইজারের বদলে ঘি
নরম ও কোমল ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারের বদলে স্নানের পর কয়েক ফোঁটা ঘি দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করতে পারেন।