Sleep Deprivation: রাতে জেগে থাকা ৩-৪ বোতল বিয়ার খাওয়ার সমান ক্ষতি, ডাক্তাররা আর যা জানাচ্ছেন

সারা রাত জেগে থাকা মানে শুধু পরের দিন ক্লান্তি নয়, বরং শরীর ও মনের ওপর তা নেশার মতো প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাব মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে এমনভাবে দুর্বল করে দেয়, যা অ্যালকোহল সেবনের প্রভাবের সঙ্গে তুলনীয়।

Advertisement
রাতে জেগে থাকা ৩-৪ বোতল বিয়ার খাওয়ার সমান ক্ষতি, ডাক্তাররা আর যা জানাচ্ছেনমেটা এআই প্রতীকী ছবি।
হাইলাইটস
  • সারা রাত জেগে থাকা মানে শুধু পরের দিন ক্লান্তি নয়, বরং শরীর ও মনের ওপর তা নেশার মতো প্রভাব ফেলে।
  • বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাব মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে এমনভাবে দুর্বল করে দেয়, যা অ্যালকোহল সেবনের প্রভাবের সঙ্গে তুলনীয়।

সারা রাত জেগে থাকা মানে শুধু পরের দিন ক্লান্তি নয়, বরং শরীর ও মনের ওপর তা নেশার মতো প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাব মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে এমনভাবে দুর্বল করে দেয়, যা অ্যালকোহল সেবনের প্রভাবের সঙ্গে তুলনীয়।

ঘুম ছাড়া শরীর যেন মাতাল
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথের গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১৭ ঘন্টা জেগে থাকা মানে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা (BAC) ০.০৫%, অর্থাৎ এক বোতল বিয়ারের সমান প্রভাব।

আর ২৪ ঘন্টা জেগে থাকা মানে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ০.১০%, যা ৩-৪ বিয়ার পান করার সমান প্রভাব ফেলে। শুধু এক রাত নয়, ধারাবাহিকভাবে কম ঘুম হলেও শরীরের কার্যক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। যেমন, টানা ৪ রাত মাত্র ৫ ঘন্টা ঘুম, উৎপাদনশীলতা ১-২ বিয়ার পান করার মতো কমে যায়।

টানা ১০ দিন প্রতিরাতে ৬ ঘন্টা ঘুম → শরীরের অবস্থা হয়ে যায় এমন একজনের মতো, যিনি টানা ২৪ ঘন্টা জেগে আছেন।

ঘুম না হলে মন-শরীর ভেঙে পড়ে
ভালো ঘুম শারীরিক শক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক স্বাস্থ্য ও মেজাজের জন্য অপরিহার্য। ঘুম না হলে—
মনোযোগ ও উৎপাদনশীলতা কমে যায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়
বিরক্তি, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা বাড়তে পারে

বয়সভেদে কতটা ঘুম প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স অনুসারে ঘুমের সময় ভিন্ন হয়—

নবজাতক (০-৩ মাস): ১৪-১৭ ঘণ্টা
শিশু (১-২ বছর): ১১-১৪ ঘণ্টা
স্কুলপড়ুয়া (৬-১৩ বছর): ৯-১১ ঘণ্টা
কিশোর-কিশোরী (১৪-১৭ বছর): ৮-১০ ঘণ্টা
প্রাপ্তবয়স্ক (১৮-৬৪ বছর): ৭-৯ ঘণ্টা
প্রবীণ (৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে): ৭-৮ ঘণ্টা

কেন তরুণরা ঘুম থেকে বঞ্চিত?
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৬০% শিক্ষার্থী এবং উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় ৭০% শিক্ষার্থী পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ স্ক্রিন টাইম ও জৈবিক পরিবর্তন। স্মার্টফোন, টিভি বা ল্যাপটপ থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনকে বাধা দেয়, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।

Advertisement

অ্যালকোহল ঘুমের মানও নষ্ট করে
অনেক সময় মনে হয় অ্যালকোহল দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘুমের গুণমান কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম ভেঙে যায়, শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। তাই ঘুমের কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যালকোহল এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

POST A COMMENT
Advertisement