ছাত্রজীবনে পড়তে বসে ঘুম পায়। সেরকমই অনেকে আবার অফিসে কাজের ফাঁকে ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। দুপুরে খাওয়ার পর এই সমস্যা আরও বাড়ে। যার জন্যে নানা রকম সমস্যায়ও পড়তে হয়। সাধারণভাবে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পাওয়ার কারণে অসময়ে ঘুম ভাব আসে। তবে এর আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। কয়েকটি কাজ করলে খুব সহজেই কাজের ফাঁকে ঘুম তাড়ানো যায়।
জল পান করুন
জল ঘুম ঘুম ভাব দূর করার সবচেয়ে ভাল ওষুধ। জল পান করলে আমাদের দেহের কোষগুলি নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এছাড়াও জল পান করলে, মস্তিষ্ক নতুন করে কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে যায়। খুব ঘুম পেলে, এক গ্লাস জল পান করুন। দেখবেন ঘুম ভাব কেটে গেছে।
চা- কফি পান করুন
চা বা কফি ঘুম ভাব দূর করে। ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বেশ কার্যকর। অফিসে কাজের মাঝে ঘুম পেলে, এক কাপ চা বা কফি খেয়ে নিন। এক নিমেষে দূর হবে ঘুম ভাব।
চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দিন
ঘুম পেলে চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দিন। এতে মাথা ঝিম ধরা এবং শরীরে অলসভাব একেবারে দূর হবে নিমেষে।
হাঁটাহাঁটি করুন
একটানা বসে কাজ করলে বেশি ঘুম পায়। দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পর, পাঁচ- ছয় মিনিটের জন্যে হাঁটুন। শরীরের আলস্য কেটে, ঘুম ভাবও দূর হবে।
কথা বলুন
অফিসে খুব ঘুম পেলে চুপচাপ কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে ভুল হবে। এতে ঝিম ধরা ভাবটি যাবে না। উল্টে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। কিংবা একটু বিরতি নিয়ে ফোনে কথা বলে আসুন বন্ধু- বান্ধবের সঙ্গে।
পাওয়ার ন্যাপ
কাজ করার সময় খুব ঘুম পেলে কিছুক্ষণের বিরতি নিন। সুযোগ থাকলে ১০- ১৫ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। প্রয়োজনে, সুযোগ থাকলে ডেস্কের উপর মাথা রেখে বা ওয়াশরুমে গিয়ে ন্যাপ নিয়ে আসুন।
টানা কাজের থেকে বিরতি
একটানা ৫-৬ ঘণ্টা কাজ করার পর মনোযোগ হারিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসকেরাও বলেন, প্রতি ২৫- ৩০ মিনিট কাজের পরে ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া উচিত সকলের। এতে কোমর বা কাঁধের ব্যাধিও কম হয় এবং সেই সঙ্গে ঘুম পায় না।
চোখের বিশ্রাম
ল্যাপটপ বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে কাজ করতে হলে চোখের নানা সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে চোখে নিদ্রাও আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা প্রতি ২০ মিনিটে কম্পিউটারের পর্দা থেকে দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
চ্যুইং গাম
হঠাৎ খুব ঘুম পেলে চ্যুইং গাম খেতে পারেন। এতে ঘুম ভাব কেটে যাবে, আপনি মন দিয়ে কাজ করতে পারবেন।
গান শুনতে পারেন
মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে গান। একটানা কাজ করতে করতে ঘুম পেলে গান শুনতে পারেন। এক্ষেত্রে একটু ফাস্ট বিট বা অনুপ্রেরণা দেয় এরকম গান শোনা বেশি কার্যকর হয়।
তবে এইসবের পড়ে খেয়াল রাখতে হবে সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতি রাতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম বাধ্যতামূলক সকলের জন্য। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, সারাদিন ক্লান্তিভাব থাকে এবং কাজে মন বসে না।