Sleeping Time : সুস্থ শরীর জন্য রাতে ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা এবং বিষণ্নতা ইত্যাদি। অনেকেই আছেন যাঁরা ব্যস্ততার কারণে রাতে দেরি করে ঘুমান এবং সকালে উঠেন। এমন পরিস্থিতিতে জেনে নিন কোন বয়সের মানুষের জন্য কত ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
ঘুম কেন প্রয়োজন?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু রাতে ঘুমানোই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি কখন ঘুমান, কতক্ষণ ঘুমান এবং আপনার ঘুমের মান কেমন। বিশেষজ্ঞরা জানান, রাতে ঘুম না হওয়া, দিনের বেলায় ঝিমনো অনুভূত হওয়া, ক্লান্তি, মেজাজ খারাপসহ নানা ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়।
বাচ্চাদের পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কী হবে?
ভালো ঘুমের অভাব শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ঘুমের অভাবে শিশুদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে, যেমন, স্কুলের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা, বিরক্তি, মেজাজের পরিবর্তন, বিষণ্নতা ইত্যাদি।
প্রবীণদের কি কম ঘুমের প্রয়োজন?
কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা বয়সের সঙ্গে পরিবর্তিত নাও হতে পারে, তবে প্রয়োজনীয় ঘুম পাওয়ার ক্ষমতা বয়সের সাথে হ্রাস পায়। বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের তাদের অসুস্থতা এবং ওষুধের কারণে ঘুমানোর ক্ষমতা কম থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের মানও কমতে থাকে। বয়স্কদের ঘুমের মান খুবই কম। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে যেমন অনিদ্রা, অস্থির পায়ের সিনড্রোম, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মধ্যরাতে প্রস্রাব ইত্যাদি।
শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্কদের জন্য কতটা ঘুম প্রয়োজন জানুন
বয়স কত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন
বয়স ঘুমের সময়
নবজাতক ১-২ বছর ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা
৩-৫ বছরের বাচ্চা ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা
৬ থেকে ১৩ বছরের শিশু ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা
১৪ থেকে ১৭ বছরের কিশোর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা
১৮ থেকে ৬০ বছর ব্যক্তি ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা
৬০ বছরের উপরে বয়স্ক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা