scorecardresearch
 

Sleeping Time Tips: ব্রেনকে শক্তিশালী করতে কতক্ষণ ঘুম দরকার? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা...

ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনা মনে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় ঘটনা যা মনে রাখার দরকার নেই তা বের করে দেয়।

Advertisement
কতখানি ঘুম দরকার? কতখানি ঘুম দরকার?
হাইলাইটস
  • মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকার ঘুম।
  • ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
  • ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনা মনে রাখতে সাহায্য করে।

সুস্বাস্থ্য দাঁড়িয়ে থাকে তিন স্তম্ভের উপর। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, সুষম খাবার এবং রাতে ভাল ঘুম। ঠিকঠাক ঘুম না হলে সারাদিন শরীরে বল থাকে না। দুর্বল লাগে। তাই ঘুম দরকার। কিন্তু একজন মানুষের কতক্ষণ ঘুমোনো উচিত? নানা মুনির নানা মত। কেউ বলেন, ৭ ঘণ্টা। কারও মতে, ৮ ঘণ্টা। আবার কেউ বলেন দুপুরে সামান্য ঘুমও দরকার। এখনও ৮ ঘণ্টার পক্ষেই পাল্লা ভারী বিশেষজ্ঞদের।

কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের মাত্র ৭ ঘন্টা ঘুমোন উচিত। এতে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। ডিমেনশিয়ার মতো বার্ধক্যজনিত সমস্যার ঝুঁকিও কমায়৷ এজন্য গবেষকরা ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ব্যক্তিদের নিয়ে সমীক্ষা করেছিলেন। যাঁরা ৭ ঘণ্টার বেশি বা কম ঘুমিয়েছেন তাঁদের সবার পরীক্ষার ফল নেতিবাচক এসেছে। এমন ব্যক্তিদের মধ্যে চিন্তাশক্তি, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এবং স্মৃতিশক্তি কমে যায়। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। বলে রাখি, এখনও পর্যন্ত ৮ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ে। ডিমেনশিয়ার লক্ষণও দেখা দেয়।

ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনা মনে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় ঘটনা যা মনে রাখার দরকার নেই তা বের করে দেয়। এটি বিপাক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে। NHS-র পরামর্শ, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৬ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ১২ ঘন্টা ঘুম দরকার।

মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধদের জন্য একটানা ঘুমিয়ে থাকা এবং দীর্ঘক্ষণ ঘুম খুবই কঠিন। এজন্য বার্ধক্যে মানুষকে মানসিক সমস্যায় জেরবার হন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষকদের মতে, যাঁরা প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুমোন তাঁদের মস্তিষ্ক কম ঘুমানো মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সুস্থ থাকে। এ ধরনের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য যেমন অনেক ভাল থাকে তেমন দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা থেকেও দূরে রাখে।

Advertisement

গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোন তাঁদের ঘুমে অনেক বেশি ব্যাঘাত ঘটে। গভীর ঘুম হয় না। 

আরও পড়ুন- মমতার সরকারের বর্ষপূর্তিতে শুভেন্দুর স্মরণে 'ভোট হিংসা', তর্পণ দিলীপের

 

Advertisement