scorecardresearch
 

চোরাপথে বাংলাদেশের ইলিশের যোগান অব্য়াহত এ রাজ্যে

বাংলাদেশ সরকার নতুন করে ইলিশ রফতানি বন্ধের পরদিন থেকেই ফের চোরাপথে ইলিশ ঢোকা শুরু হয়েছে এ রাজ্যে। পুরনো রুটে কদিন থমকে ছিল চোরাচালান। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতেই ফের সক্রিয় তারা।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ফের ইলিশ চোরাচালানকারীরা সক্রিয়
  • বাংলাদেশে সরকারিভাবে ইলিশ রফতানি বন্ধ হতেই সক্রিয় তারা
  • আগের চেয়ে দাম অনেক কম

৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তা সত্ত্বেও ইলিশ আসা বন্ধ হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। সোজাপথে নাই বা এল, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সক্রিয় হয়েছে চোরাপথে ইলিশ পাচার। বাঘের মুখে রক্তের স্বাদ আর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এ রাজ্যের বেশি সংখ্যক ইলিশপ্রেমীদের জিভে পদ্মার ইলিশের স্বাদ উঠে গিয়েছে। ফলে তাদের প্রতিরোধ করা এখন মুশকিল।

ফের চোরাপথে ওপার বাংলার ইলিশ

প্রজনন মরশুম বলে ঘোষণা করে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা থেকে সরে গিয়ে এক সপ্তাহ আগেই ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা পরিচালিত বাংলাদেশ সরকার। তবে সীমান্ত রয়েছে যে দেশের সঙ্গে, সেখানে ইলিশ পাচার আটকানো কঠিন। তাই সরকারের নির্দেশে বন্ধ হতেই ফের চোরাপথে ওপার বাংলার ইলিশ পশ্চিমবাংলায় ঢুকছে। ইলিশপ্রেমীদের পাতে উঠছে সুস্বাদু পদ্মা-মেঘনার ইলিশ।

পাতে ইলিশ খুশি আমজনতা

চোরাপথে দেদার ঢুকছে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ। নদীপথেই পাঠানো হচ্ছে বেশিরভাগ ইলিশসুস্বাদু ইলিশ। ফলে সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও পাতে ইলিশ পেয়ে অখুশি নয় এ রাজ্যের আপামর বাঙালি।

সরকারিভাবে বন্ধ, তাই চোরাপথেই ইলিশ

সরকারিভাবে দীর্ঘ বছর বন্ধ রাখার পর বাংলাদেশ সরকার এ দেশে ইলিশ রফতানি করেছিল। প্রথমে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও পরে এক সপ্তাহ কমিয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে হতাশ হয়ে পড়েছিল বাঙালি। তবে বেআইনি পথে ইলিশ ফের ঢোকা শুরু হতেই হামলে পড়েছে জনতা।

এবারও চলছে ইলিশের চোরাচালান

এতদিন চোরাপথের পদ্মার ইলিশেই মন ভরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এবার সরকারিভাবে ইলিশ পাঠানোতে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে তা রদ হতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুদেশের চোরাচালানকারীরা।এ রাজ্যের বনগাঁ ও বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে ঢুকছে ইলিশ। কিছু পরিমাণ ঢুকছে উত্তরবঙ্গের হিলি ও চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে। 

Advertisement

দাম এবার কম

এতদিন চড়া দামে চোরাপথে এলেও, এবার দামও খানিকটা কম। ৩ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে চোরাপথে আমদানি। এখনও সোজাপথে আসা ইলিশ বাজারে প্রচুর পরিমাণ রয়েছে। তাই আপাতত চোরাপথের ইলিশ মোটামুটি হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে। তবে বাজার থেকে যত ইলিশ গায়েব হবে, তত দাম বাড়তে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

 

Advertisement