শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে দরকার স্বাস্থ্যকর খাবার। ভিটামিন এবং খনিজ মেলে স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে। ফল ও শাকসবজির পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরকে ভালো রাখে। জোগায় শক্তি। পুষ্টির অভাবে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। আসতে পারে ক্লান্তি, ঘুমঘুম ভাব। কাজে মন লাগে না। ফলের রাজা আম। এতে রয়েছে বিবিধ পুষ্টিগুণ। বাংলায় আমের মরসুম শুরু হচ্ছে। গরমে আম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আম খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালির সংখ্যা হাতে গোনা। তবে আম খেলেই শরীরের জন্য ভালো, তা কিন্তু নয়। বরং আম খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হতে পারে বলে মত পুষ্টিবিদরা। কীভাবে খেলে ক্ষতি এড়াতে পারবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে,আমে রয়েছে ফাইটিক অ্যাসিড। এই উপাদানটি একইসঙ্গে উপকারী এবং ক্ষতিকারকও হতে পারে। আম ছাড়াও এটি অন্যান্য বীজ এবং শস্যেও পাওয়া যায়। অতিরিক্ত খেলে শরীরে ৩টি জিনিসের ঘাটতি হয়। NCBI গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশের পর আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়াম ইত্যাদির শোষণকে কমিয়ে দেয়। এ কারণে শরীর এই সব উপাদান পায় না। রক্তশূন্যতা, দুর্বল হাড় ও জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
কীভাবে আম খাবেন?
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, আম খাওয়ার আগে অন্তত ১ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। জলে আম ভিজিয়ে রাখলে অতিরিক্ত ফাইটিক অ্যাসিড ভেঙে যায়।সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
আরও পড়ুন- ৫ ঘরোয়া টোটকায় বিদেয় হবে চা-কফি-তেলের নাছোড় দাগ, ডিটারজেন্টও ফেল!
কারও কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। সামান্য আম খেলেও ব্রণ, অ্যালার্জি, ত্বকে সংক্রমণ হতে শুরু করে। এছাড়া আমে থাকে প্রচুর শর্করা। তাই ডায়াবেটিস থাকলে আম এড়িয়ে চলুন। পুষ্টিবিদদের মতে,ভিজিয়ে রাখা আম খেলে শরীরে তাপ বাড়ে না।
তবে ফাইটিক অ্যাসিডের কিছু সুবিধাও রয়েছে। পরিমিত খেলে ফাইটিক অ্যাসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। যে কারণে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স রোধ হয় এবং ডায়াবেটিস এড়ানো যায়।