জীবনযাত্রা কমবেশি সকলের বদলে গিয়েছে। এখন প্রায়শই বাইরের খাবার খান মানুষ। সেই সঙ্গে চা-কফি ও কোল্ড ড্রিংকস তো রয়েইছে। তার জের পড়ছে শরীরের উপর। বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। একবার সুগার ধরা পড়লে সহজে ছাড়ে না! নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটাতে হয়। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই স্যালাড খান। অনেকে আবার খাবারের সঙ্গে স্যালাড মাস্ট। এটা সত্যি,স্যালাড ফল বা সবজি যা দিয়েই তৈরি হোক না কেন, তা স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। লাঞ্চ বা ডিনারে যে স্যালাড খাওয়া হয় তা ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যের জন্য় খুবই উপকারী।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকলের স্যালাড খাওয়া উচিত। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের প্রচুর স্যালাড খাওয়া দরকার। কেন? স্যালাডে রয়েছে ভালো পরিমাণে রফেজ এবং ফাইবার। যা সুগার মেটাবলিজমকে বাড়ায়। এছাড়াও অগ্ন্যাশয়কে গতিশীল করে। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। যা চিনিকে হজম করতে সক্ষম। ডায়াবেটিসে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে এবং চিনির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে স্যালাড।
ডায়াবেটিসের জন্য সবুজ স্যালাড
সুগার রোগীদের জন্য গ্রিন স্যালাড খাওয়া খুবই উপকারী। গ্রিন স্যালাডে ব্রকলি, গাজর, মুলো, বিটরুট, শসা, পেঁয়াজ, ধনেপাতা ও কাঁচা লঙ্কা যোগ করতে পারেন। অর্ধেক ভাজা বা কাঁচা স্যালাড খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসের জন্য স্প্রাউট স্যালাড
স্প্রাউট অর্থাৎ অঙ্কুরিত ছোলা বা বাদাম স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। এতে প্রোটিনের সঙ্গে ফাইবার থাকে। ইনসুলিন বৃদ্ধির সঙ্গে খিদের ভারসাম্য বজায় রাখে। ডায়াবেটিসে বিপাক ঠিক রাখে। এ জন্য ছোলা, মুগ ও মেথি আপনার স্বাদ অনুযায়ী ভিজিয়ে রাখুন। তার পর অঙ্কুরিত স্যালাড বানিয়ে খান। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে খাবারে এই দুধরনের স্যালাড খাওয়া শুরু করুন।