![রসুনের খোসা খেতে পারলে রোগ কাছে ঘেঁষবে না, কীভাবে খাবেন?](https://akm-img-a-in.tosshub.com/lingo/styles/medium_crop_simple/public/images/story/202304/whatsapp_image_2023-04-21_at_18.09.57.jpeg)
Garlic Peel Eating Benefit: রসুন আমাদের রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এটি ছাড়া অনেক খাবারের স্বাদ তৈরি হয় না। বিশেষ করে আমিষ খাবারে রসুন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা শুধু খাই রসুনের ভিতরের অংশ বা শাঁসটা। রসুনে খোসা? কী করি, ফেলে দিই। আমরা ব্যবহারের জন্য রসুনের খোসাকে অকেজো মনে করে ডাস্টবিনে ফেলে দিই, কিন্তু এই খোসার উপকারিতা জানা থাকলে তা আর কখনওই করবেন না। রসুনে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপায়ে উপকারী হতে পারে যা সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। আসুন দেখি কীভাবে এটি ব্যবহার করা যায়।
রসুনের খোসার উপকারিতা
১. রসুনের খোসা অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর। শাকসবজিতে দিয়ে বা স্যুপে দিয়ে ফুটিয়ে নিলে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।
২. হাঁপানির সমস্যা থাকলে প্রথমে রসুনের খোসা ভালো করে পিষে তারপর মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা সেবন করুন। রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
৩. রসুনের খোসাও চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। খুশকির সমস্যা থাকলে রসুনের খোসার জল বা পেস্ট চুলে লাগান, খুশকি ও উকুন দূর হবে। আপনি চাইলে রসুনের খোসার জল সিদ্ধ করে চুলে লাগাতে পারেন।
৪. রসুনের লবঙ্গে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এটিকে আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এভাবে এটি চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এর জন্য আক্রান্ত স্থানে রসুন ও এর খোসার জল লাগাতে হবে। এটি ব্রণ থেকেও মুক্তি দেয়।
৫. পায়ের ফোলাভাবও কমায় রসুনের খোসা। এজন্য জলেতে রসুনের খোসা সিদ্ধ করে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি দ্রুত স্বস্তি দেবে।
৬. যাদের একজিমার মতো সমস্যা আছে, তারা রসুনের খোসা দিয়ে তা দূর করতে পারেন। চুলকানি এবং ব্যথা সব সময় এই ধরনের ত্বকের সমস্যার কারণে হয় এবং এর কারণে জ্বালাও হতে পারে। একটি পাত্রে জল নিয়ে রসুনের খোসা গরম করে জলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করতে হবে।