Control Sugar In Easy Way: অল্প বয়সেই শরীরে বাসা বেঁধেছে ডায়বেটিস? মুষড়ে পড়েছেন আপনি? মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই। নিয়ম মানলে আপনার যে রক্তে সুগার লেবেল বেড়েছে তা দিব্যি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আজ আপনাকে সাত উপায় বলে দিই, যা মেনে চললে আপনার সুগার হয়েছে, তা বুঝতেই পারবেন না। তবে মেনে না চললে বিপদে হতে পারবে। কী কী করতে হবে সেগুলো একনজরে দেখে নিন।
১. কী কী খাবেন না- প্রসেসড ফুড অর্থাৎ টিন বা কৌটোজাত সংগ্রহ করে রাখা খাবার, ড্রাই ফ্রুটস, মিষ্টি চকোলেট, ক্যান্ডি- এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষ করে প্রসেসড প্রোটিন না খাওয়াই ভাল। কারণ এইসব খাবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে।
২. স্বল্প পরিমাণে বারে বারে খাবার খান- অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে। কিন্তু বারে বারে খেতে হবে। অর্থাৎ একবারে কখনই অনেকটা খাবার খাবেন না। বরং দিনে বহুবার, অন্তত ৬ বার খাবার খেতে পারেন। কিন্তু পরিমাণ হবে স্বল্প। বারে বারে অল্প পরিমাণে খাবার খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩. স্বাস্থ্যকর পান করুন- কোল্ড ড্রিঙ্কস বা সোডা জাতীয় পানীয় না খেয়ে বরং স্বাস্থ্যকর পানীয় অর্থাৎ হেলদি ড্রিঙ্ক যেমন ডাবের জল, ফলের রস, ঘরে তৈরি করা স্মুদি, লো-ফ্যাট যুক্ত লস্যি এইসব খেতে পারেন। মেনুতে যুক্ত করতে পারেন দইয়ের শরবত। কোল্ড ড্রিঙ্কস বা সোডার মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
৪. পরিমিত জল পান- শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হলে সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। তাই বলে একসঙ্গে অনেকটা জল একবারে খাবেন না। বোতলের পরিবর্তে গ্লাসে মেপে জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ঠান্ডা জল না খাওয়াই উচিত। হাঁটাচলা করতে করতে জল না খেয়ে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চা- ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নয়, বরং রোজ হাল্কা কিছু একসারসাইজ করুন। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রাখতে পারেন। এছাড়াও সাইক্লিং, সুইমিং, জগিং, দৌড়ানো- এইসবও আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬. সুষম আহার- ডায়েটে যেন কোনও কিছুর ঘাটতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। বেশি করে ফল খেতে পারেন। এছাড়াও আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন তাজা-টাটকা শাকসবজি। এইসব খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না। আর সুষম আহার করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার।