
Disadvantages Of Drinking Sugarcane Juice: গ্রীষ্মে এক গ্লাস তাজা আখের রস কে না পছন্দ করে? আখের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ নেই। এটিতে শূন্য কোলেস্টেরল, ফাইবার এবং প্রোটিন সামগ্রী পাওয়া যায়। পাশাপাশি এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। সবাই মনে করে যে এই জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন সুগার পানীয়টি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে। যদিও আখ স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। এটি আপনার এনার্জির মাত্রা বাড়ায়, লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, হজমে সহায়তা করে, কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ব্রণের চিকিৎসাও করতে পারে। তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। কেন আখের রস আপনার জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আখের রস পানের ৬টি অপকারিতা
হাই ক্যালোরি
আখের রসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই দিনে এক গ্লাসের বেশি আখের রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় না। অতিরিক্ত সেবনের ফলে ওজন বাড়তে পারে।
অনিদ্রার ঝুঁকি বেড়ে যায়
আখের রসে পোলিকোসানোল রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই যৌগ শরীরে হালকা স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে আখের রস গ্রহণের ফলে মাথা ঘোরা, অনিদ্রা এবং লুজ মোশান হতে পারে।
রক্ত পাতলা করে
আখের রসে উপস্থিত Policosanol আপনার রক্ত পাতলা করতে পারে। তাই, আখ রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অতএব, আপনি যদি এমন কোনও ওষুধ খান যা আপনার রক্তকে পাতলা করে, তবে আখের রস খাবেন না।
সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়
আখ বিক্রেতারা অনেক সময় আখ না ধুয়ে মেশিনে রেখে রস আহরণ করেন । এই অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া রসকে ময়লা করে তুলতে পারে। ফলে আখের রসের গ্লাসে কীটনাশক ও ব্যাকটেরিয়া মিশে গেলে খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
ডায়াবেটিস
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে আখের রস পান করা এড়িয়ে চলুন। আখের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে আখের রস পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দ্রুত বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে
এটি দ্রুত বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। আখ ২০ মিনিটের বেশি সংরক্ষণ করলে তা অক্সিডাইজ হয়ে যায়, এটি আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। অক্সিডেশন বিষের মতো কাজ করে এবং পেটের অনেক সমস্যা তৈরি করে। তাই আখ খাওয়ার জন্য তাজা আখের রস সবচেয়ে নিরাপদ।
Disclaimer: এই বিষয়বস্তু শুধুমাত্র পরামর্শ সহ সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আজতক বাংলা এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।