বদ হজম, গ্যাস, অম্বল, পেটে ব্যথার মতো নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকেন অনেকেই। সেই সব সমস্যার সমাধান রয়েছে থানকুনি পাতায়। যাঁরা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্যও খুব ভালো থানকুনি পাতার রস। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। এছাড়াও থানকুনি পাতার কী কী গুণাগুণ আছে, আসুন দেখি।
পেটের রোগ নিরাময়ে থানকুনি পাতা কার্যকর। যে কোনও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পাতা হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতিতে সহায়তা করে। অনেকের আমাশয় হয়। এই পাতা তা দূর করে। বিশেষ করে ক্রনিক আমাশয়ের ক্ষেত্রে খুবই ভালো থানকুনি পাতা।
আরও পড়ুন : ব্যবহার করা চা পাতা ফেলে দিচ্ছেন? এই সব কাজে লাগান
প্রতিদিন থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু, মিশিয়ে খেলে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যাবে। শরীর থাকবে ফুরফুরে। আবার এই পাতার মধ্যে থাকে ভেষজ গুণ। যা যৌনজীবনকে সক্রিয় রাখে। যৌনতার প্রতি অনীহা দূর করে।
মানসিক রোগীদের বিশেষ করে যাঁরা বেশি চিন্তা করেন তাঁদের জন্য এই পাতা বিশেষ উপকারি। এতে থাকা কিছু উপাদান স্যারোটনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে কর্টিসল মানে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে।
বাসক পাতার মতো এই পাতার রস খেলেও কাশি কমে যায়। এছাড়াও জ্বরের সময় মধুর সঙ্গে ১ চামচ থানকুনি পাতার রস খেলে ফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন : ১ জানুয়ারি থেকে বাচ্চাদের ভ্যাকসিনেশনের রেজিস্ট্রেশন, কোথায় করবেন?
অনেকের ঠিকমতো ঘুম হয় না। এক্ষেত্রেও প্রতিদিন সকালে উঠে থানকুনি পাতা ভেজানো জল খেতে পারেন। স্নায়ু শিথিল হবে। ঘুম আসবেই।
আবার দাঁতের রোগ বা যে কোনও ক্ষত সারাতেও থানকুনি পাতার জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা দাঁতে ব্যথা হলে এই পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার মেলে। এছাড়াও শরীরের যে কোনও স্থানে কেটে গেলে এই পাতার রস লাগাতে পারেনষ দ্রুত ক্ষত শুকিয়ে যাবে।