শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাড়। হাড়ে ক্ষয় হলে আর ঠিক করা যায় না। তাই আগে থেকে হাড়ের যত্ন নেওয়া দরকার।হাড় মজবুত করার জন্য সাধারণত দুধ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু, শুধু দুধ এবং ক্যালসিয়াম দিয়ে হাড় মজবুত করা যায় না। এর পাশাপাশি আরও অনেক কিছুর যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। ছোটবেলা থেকে যৌবন পর্যন্ত এমন কিছু ভুল করে থাকেন অনেকে,যে কারণে বার্ধক্যের আগেই হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এমন কিছু ভুল যা হাড়কে দুর্বল করে দেয়,তা রোজই করে থাকেন অনেকে।
জাঙ্ক ফুড- আজকাল মানুষ বাইরের জিনিস খেতে বেশি পছন্দ করে। পেট ভরে পিৎজা, বার্গার, চাউমিন এবং মোমো ইত্যাদি খান যা স্বাস্থ্যের জন্য বিষ। এই জিনিসগুলিতে প্রচুর পরিমাণে তেল এবং অস্বাস্থ্যকর পদার্থ থাকে। এতে পুষ্টিও থাকে না। এ কারণে হাড় পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরে সবসময় ব্যথা হয়ে যা জানান দেয়।
আলস্য- সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা প্রয়োজন। কিন্তু, আজকাল ব্যস্ততার কারণে অনেকেই তা নিয়মিত শরীরকে সময় দিতে পারেন না। দীর্ঘদিন অলস জীবন কাটালে বা ব্যায়াম না করলে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পায় না। এর ফলে আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হাড়কে শক্তিশালী রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার।
ধূমপান- সিগারেট, বিড়ি হাড়কে দুর্বল করে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হাড়কেও দুর্বল করে। হাড়ের ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায়। হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত মদ্যপান- বিশেষজ্ঞদের মতে,ঘন ঘন এবং অতিরিক্ত মদ্যপানও হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে। কারণ ওয়াইনে উপস্থিত অ্যালকোহল হাড়ের ওপর প্রভাব ফেলে। পুষ্টি শোষণ করতে পারে না হাড়। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে।
ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি- এ ছাড়া অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিও হাড়ের ওপর প্রভাব ফেলে। ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি 12, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য খাদ্যতালিকায় অন্যান্য ফল, শাকসবজি, ডিম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।