স্থূলতার অনেক কারণ থাকতে পারে। খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, বেশি রাত পর্যন্ত জাগা, কিংবা কখনও কখনও জেনেটিক কারণেও বাড়তে থাকে দেহের ওজন। এছাড়াও স্থূলতার আরও কিছু কারণ রয়েছে, যেদিকে সাধারণত আমাদের চোখ যায় না। তবে সময় মতো চিকিৎসা না হলে সেটি মারণ আকার ধারণ করতে পারে।
থাইরয়েড এমনই একটি রোগ যাতে ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে এবং সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সেটি সুগারের মতো অনেক অন্য রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে। একটু সচেতনতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস (Thyroid Control Food) অবলম্বন করলে এ রোগ নিরাময় করা যায়।
১. আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার
থাইরয়েডের রোগীর সেই সব পদার্থ খাওয়া উচিত যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে। কারণ এর পরিমাণ থাইরয়েড ফাংশনকে প্রভাবিত করে। তাই সি ফুড, বিশেষ করে মাছ আয়োডিন সমৃদ্ধ খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না।
২. খনিজ সমৃদ্ধ খাবার
কপার এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন। কারণ এগুলো থাইরয়েডের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। কাজু, বাদাম এবং সূর্যমুখীর বীজে সর্বাধিক পরিমাণে কপার পাওয়া যায় এবং সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।
৩. ভিটামিন
খনিজের পাশাপাশি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারকেও ডায়েটে সামিল করুন। এটি থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপকারী। এক্ষেত্রে পনির, কাঁচা লঙ্কা, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়।
৪. কম চর্বিযুক্ত খাদ্য
কম চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন। অন্যদিকে গরুর দুধ থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া থাইরয়েড রোগীরা রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
থাইরয়েড রোগীদের কী কী খাওয়া উচিত নয়? (Bad Food For Thyroid)
১. সয়া এবং এটি থেকে তৈরি জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন.
২. জাঙ্ক এবং ফাস্ট ফুড কম খান।
৩. ব্রকলি, বাঁধাকপি জাতীয় সবজি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সঠিক খাবারের পাশাপাশি থাইরয়েড রোগীদের নিয়মিত যোগব্যায়াম তথা শরীরচর্চা করা উচিত। এছাড়াও থাইরয়েডের সমস্যায় রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন - এবার অস্ত যাবে মঙ্গল, ৩ রাশির অত্যন্ত কঠিন সময়; রইল প্রতিকার