AC Vs Cooler: বৈশাখের মাঝামাঝি। বঙ্গে বৃষ্টির ছিঁটেফোঁটাও নেই। বরং সকাল থেকেই রীতিমতো যেন আগুন ঝরছে। তাপপ্রবাহের জেরে বাইরে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। ঘরেও গরমে টেকা দায় হয়েছে। পাখার হাওয়াও গরম। ফলে এয়ার কুলার আর এয়ার কন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আগে বিলাসবহুল সামগ্রীর মধ্যে ধরা হলেও বর্তমানে তা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। কিন্তু এয়ার কুলার না এয়ার কন্ডিশনার কোনটা কেনা উচিত, আজ সেই বিষয়েই জেনে নেওয়া যাক।
ঠান্ডা হাওয়া
এয়ার কুলারের ক্ষেত্রে সর্বদা টাটকা-তাজা হাওয়া পাওয়া যায়। অন্যদিকে, এয়ার কন্ডিশনার আবার ঘরের বাতাসকেই ঠান্ডা করে বারবার ফিরিয়ে দেয়। ফলে হাঁপানি অথবা সেরকম কোনও রোগ থাকলে এয়ার কুলার হতে পারে সেরা বিকল্প। অন্য দিকে, যাঁরা সমুদ্র উপকূলবর্তী কিংবা উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস করেন, তাঁদের জন্য এয়ার কন্ডিশনার সেরা বিকল্প হতে পারে।
দামের পার্থক্য
কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনারের দামের মধ্যে কম করে তিন গুণ ফারাক রয়েছে। এয়ার কুলারের দাম মোটামুটি ১০ হাজার টাকার আশপাশে থাকে। সেখানে এয়ার কন্ডিশনারের দাম শুরুই হয় ৩০ হাজার টাকা থেকে। এছাড়া এয়ার কুলার আবার এয়ার কন্ডিশনারের তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ করে। কিন্তু আর্দ্রতা বেশি থাকলে ভরা গ্রীষ্মে এয়ার কুলার স্বস্তি দিতে পারবে না।
কুলিং ও টেম্পারেচার
এয়ার কুলারে কুলিং অপশন বেছে নেওয়া যায় - ফাস্ট, মিডিয়াম এবং লো। অন্য দিকে এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে ঋতু অনুযায়ী তাপমাত্রা সেট করা যাবে। এয়ার কুলারের জল প্রতিদিন বদলাতে হয়। কিন্তু এয়ার কন্ডিশনারে এসব করার প্রয়োজন হয় না।
এয়ার কুলার বনাম এয়ার কন্ডিশনার: কোনটা বেশি ভাল?
দুটোরই বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। যেমন- এয়ার কুলারে টাটকা বাতাস পাওয়া যাবে। অন্যদিকে, এয়ার কন্ডিশনার ঘরের বাতাসকেই ব্যবহার করে। আবার এয়ার কুলারে মশার বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। তবে এয়ার কন্ডিশনারে ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচার জন্য ডাস্ট ফিল্টার পাওয়া যায়। ফলে নিজের বাসস্থান, প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুযায়ী এয়ার কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনারের মধ্যে থেকে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন গ্রাহকরা।