
প্রোটিন হল আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। এটি পেশি তৈরির পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি এবং এনার্জি বজায় রাখতে করে সাহায্য। তাই এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। সারাদিন গ্রাস করতে পারে ক্লান্তি। এমনকী কোনও কাজে মন লাগতে না পারে।
সুতরাং অ্যাক্টিভ জীবন কাটাতে চাইলে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে হবে। সেক্ষেত্রে নিজের প্রতি কেজি ওজন পিছু ১ গ্রাম প্রোটিন হল মাস্ট। অর্থাৎ ওজন ৫০ কেজি হলে ৫০ গ্রাম প্রোটিন দিনে খেতে হবে। আর এই পরিমাণ প্রোটিন পেতে চাইলে ডায়েটে রাখতে হবে কিছু পরিচিত খাবার। তাই দ্রুত সেই সব খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
ডিম
অত্যন্ত উপকারী খাবার হল ডিম। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। তাই নিয়মিত ডিম খেলে যে অনায়াসে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারবেন, সেই কথা তো বলাই বাহুল্য!
তবে যাঁদের ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল বা হাই প্রেশার রয়েছে, তাঁরা দিনে একটার বেশি গোটা ডিম খাবেন না। তার বদলে ডিমের সাদা অংশ ৩ থেকে ৪টি পর্যন্ত খেতে পারেন। তাতেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাছ
বাঙালি মানেই মাছ অন্ত প্রাণ। আর এটা প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন রয়েছে। তাই মাছ খেলে দেহে অনায়াসে প্রোটিনের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
তবে চেষ্টা করুন বড় সাইজের মাছ না খাওয়ার। তার বদলে ছোট মাছ খান। এই নিয়মটা মেনে চললেই শরীর থাকবে সুস্থ।
চিকেন ব্রেস্ট
লিন প্রোটিন অর্থাৎ চর্বিহীন প্রোটিনের সেরা উৎস হল চিকেন ব্রেস্ট। এই খাবার খেলেই অনায়াসে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। পাশাপাশি কোলেস্টেরল বাড়ার ভয়ও থাকবে না। তাই আজ থেকেই ডায়েটে এই খাবারকে জায়গা করে দিন।
দুদ্ধজাত খাবার
দুধ, ছানা, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার অবশ্যই রাখতে হবে ডায়েটে। তাতে শরীর থাকবে ভালো। মিলবে একাধিক ভিটামিন, খনিজ। এমনকী প্রোটিনের ঘাটতিও মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।
সোয়াবিন
অত্যন্ত উপকারী নিরামিষ খাবার হল সোয়াবিন। এতে ভালো পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। সেই সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজেরও খোঁজ পাবেন ভরপুর। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই সোয়াবিনকে জায়গা করে দিুন। আর যাঁরা সোয়াবিন খেতে চাইছেন না, তাঁরা টোফু খান। তাতেও একই উপকার মিলবে।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।