দার্জিলিং (Darjeeling) নামটা শুনলে যে শব্দগুলি সবার আগে মাথায় আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল টয়ট্রেন (Toy Train)। বাঙালির কাছে এই টয়ট্রেন আবেগ। অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ধস, একের পর এক বিপর্যয়ের কারণে দীর্ঘ চার মাস বন্ধ ছিল নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা। এবার পর্যটক ও উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য সুখবর। দীর্ঘ বিরতির পর ফের চালু হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন। ১৭ নভেম্বর, সবুজ পতাকা নাড়িয়ে টয়ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন রেলের ডিআরএম সহ আধিকারিকরা।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway), ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (UNESCO World Heritage Site) ফের পুরনো ছন্দে ফিরেছে। গত চার মাসে যারা শৈল শহরে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তারা অনেকেই টয়ট্রেন যাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। তবে ফের রাইড চালু হওয়ার খবরে মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে সকলের।
আপনারও প্ল্যান আছে দার্জিলিং গিয়ে এই টয়ট্রেনের জার্নি অভিজ্ঞতা করার? তাহলে আগে থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি। কত টাকা ভাড়া? কীভাবে বুকিং করবেন? ট্রেনের সময় কখন? জেনে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি।
এনজেপি (শিলিগুড়ি) থেকে দার্জিলিং গামী টয়ট্রেনের ভাড়া
দু'ধরনের টয় ট্রেন চলে দার্জিলিঙে। জয় রাইড ও রেগুলার রাইড। জয় রাইডের মধ্যেও ট্রেন চালিত ও বাষ্প চালিত- দু'ধরনের ট্রেন রয়েছে। ডিজেল চালিত টয়ট্রেনের জনপিছু ভাড়া ১০০০ টাকা। আর বাষ্প চালিত টয়ট্রেনের জনপিছু ভাড়া ১৬০০ টাকা। ডিজেল ইঞ্জিনে ফার্স্ট ক্লাসের কেবিন-সহ বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীরা তাদের পছন্দ মতো ট্রেন বুকিং করতে পারেন। অন্যদিকে, রেগুলার দার্জিলিং টয়ট্রেনের ভাড়া গন্তব্য অনুযায়ী আলাদা। ন্যূনতম ভাড়া শুরু হচ্ছে ৪৫০ টাকা দিয়ে এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১,৪২০ টাকা। ভিস্তাডোম ফার্স্ট ক্লাসে যেতে চাইলে খরচ পড়বে ১৪০০ টাকা।
ট্রেন ছাড়ার সময়?
প্রতিদিন সকাল ১০টায় এনজেপি স্টেশন থেকে ছাড়বে এই টয়ট্রেন। অন্যদিকে দার্জিলিং থেকে এনজেপির উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছাড়বে ঠিক সকাল ৯টায়।
কীভাবে টিকিট কাটবেন?
ভারতীয় রেলেরই অন্তর্গত দার্জিলিয় টয়ট্রেন। তাই ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে টিকিট বুকিং করা যায়। আইআরসিটিসি (IRCTC)-র ওয়েবসাইট থেকে কাটতে পারবেন এই জয় রাইডের টিকিট। এছাড়া যে কোনও কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকেও টিকিট বুকিং করা যাবে। এছাড়াও শিলিগুড়িতে নেমে এনজেপি স্টেশন কিংবা শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনেও টিকিট কাটতে পারেন। তবে সেখানে গিয়ে কাটলে টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এখন বেশীরভাগ বুকিং হয়ে যায় আগেই, অনলাইনে।