Traditional Bengali Recipe: নিরামিষ ডিনারও জমে যাবে, এভাবে বানান 'ঝিঙের জল বড়া'

গরমের মধ্যে লাউ ডাল, শুক্তো, তেতোর ডাল এসবই বেশি খাওয়া হয়। এর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শও খাওয়া হয়। তবে সাধারণভাবে রান্না করা ঝিঙে বা ঢ্যাঁড়স খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে এই রেসিপিটা আপনাদের দারুণ কাজে দিতে পারে। ঝিঙের অন্য তরকারির পাশাপাশি বানিয়ে নিতে পারেন ঝিঙে দিয়ে এই জল বড়া।

Advertisement
নিরামিষ ডিনারও জমে যাবে, এভাবে বানান 'ঝিঙের জল বড়া'ঝিঙের জল বড়া

গরমের মধ্যে লাউ ডাল, শুক্তো, তেতোর ডাল এসবই বেশি খাওয়া হয়। এর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শও খাওয়া হয়। তবে সাধারণভাবে রান্না করা ঝিঙে বা ঢ্যাঁড়স খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে এই রেসিপিটা আপনাদের দারুণ কাজে দিতে পারে। ঝিঙের অন্য তরকারির পাশাপাশি বানিয়ে নিতে পারেন ঝিঙে দিয়ে এই জল বড়া। রেসিপি শেয়ার করলেন নরারুনা গঙ্গোপাধ্যায়।  

এই রান্নাটা যেদিন বাড়িতে হবে সেদিন দু মুঠো চাল বেশি লাগবে মাছ, মাংস সবই ভুলতে বসবেন এটা খাওয়ার পর। সবচেয়ে বড় কথা হল, পেঁয়াজ রসুন ছাড়া সম্পূর্ণ নিরামিষ এই রেসিপি আপনারা আগে কখনও খাননি? কারণ এই রেসিপি দীর্ঘদিনের পুরনো, হারিয়ে যাওয়া রান্নার মধ্যে অন্যতম। 

তবে যদি খেয়ে থাকেন,তবে অবশ্যই জানাবেন ফেসবুকের কমেন্টে। তাহলে শিখে নেওয়া যাক, প্রথমে কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে তাতে কালো জিরে, কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দিতে হবে। একটা লঙ্কা ফোড়ন দেওয়ার পর ফোড়নের গন্ধ ছেড়ে দিলে মিষ্টি আলু দিয়ে দিন। ভালো করে নাড়িয়ে নিয়ে নুন দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। 

পরে এর সঙ্গে দিন ঝিঙে, আদা বাটা, লঙ্কা বাটা, জিরে বাটা। তারপর একসঙ্গে ভাল করে কষিয়ে ভেজে নিন। এরপরে এই রান্নাটা ঢেকে রেখে দিন। ঝিঙে থেকে অল্প অল্প করে জল বেরিয়ে যেতে থাকলে মুগডলের মধ্যে সামান্য নুন মিশিয়ে নিয়ে এর উপর থেকে বড়ার মতো করে দিয়ে দিন। এর পরে উপর থেকে নারকেলের দুধ দিয়ে এরকম ভাবে ঢেকে ভাপাতে দিন। 

ভাপানো হয়ে গেলে দেখবেন বড়া গুলো রেডি হয়ে গিয়েছে এর পরে নাড়িয়ে ছাড়িয়ে দিন। আরেকটু জল দিয়ে এবং পোস্ত বাটা দিয়ে ঢেকে রাখুন। কিছুটা রান্না হওয়ার পর, ওপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে নিলে রেডি ঐতিহ্যবাহী ঝিঙে জল বরার মালাইভাঁপা। শুধু মা ঠাকুমার নয় তাদেরও ঠাকুরমারও ঐতিহ্য বহন করছে এই রান্না। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement