টিবি (Tuberculosis) একটি গুরুতর রোগ। রবার্ট কক ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ টিবি-র ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন, যা এই রোগকে চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল। এই রোগকে যক্ষাও বলা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন যার মধ্যে রয়েছেন এই দেশের মানুষও। ফুসফুসের টিবিকে পালমোনারি টিবি এবং শরীরের অন্যান্য অংশের টিবিকে এক্সট্রা পালমোনারি টিবি বলে। ভারতে টিবি আক্রান্তের প্রায় ৮০ শতাংশই পালমোনারি টিবি-র সঙ্গে সম্পর্কিত।
যক্ষ্মা বিরুদ্ধে অভিযান
এর আগে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫-এর মধ্যে দেশকে টিবি (TB) মুক্ত করার ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে, নিঃক্ষয় পোষণ যোজনা, টিবি বিজ্ঞপ্তির সম্প্রসারণ, সক্রিয় টিবি অনুসন্ধান অভিযানের মতো প্রকল্পগুলি চালু হয়। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পুষ্টি ভাতার মতো সুবিধাও চালু করা হয়। যক্ষ্মা নির্মূলের জাতীয় কর্মসূচিতে বেসরকারি চিকিৎসকরাও অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছেন। ২০২০ সালে, জাতীয় কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে 'জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি' করা হয়।
কী ধরনের সমস্যা আসছে?
যক্ষ্মা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে না পারার অনেক কারণ রয়েছে। যেমন টিবির ব্যাকটেরিয়া কোনও লক্ষণ ছাড়াই বহু বছর শরীরে সুপ্ত থাকতে পারে। যখন অনুকূল পরিস্থিতি দেখা দেয়, তখন এটি পুনরায় সক্রিয় হয় এবং রোগের বিস্তার করে। এছাড়া সামাজিক এবং মানবিক দিক থেকে দেখলেও কিছু কারণ পাওয়া যায়, যেমন অপুষ্টি, এইচআইভি, ডায়াবেটিস, মহিলাদের মধ্যে তাড়াতাড়ি এবং বারবার গর্ভধারণ, পরদা প্রথা, ধূমপান এবং অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব।
চিকিৎসায় কীভাবে যত্ন নেবেন?
অবশ্যই চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করুন। চিকিৎসার সময় রোগীর নিয়মিত বিশ্লেষণ এবং পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। যক্ষ্মা রোগীরা প্রায়শই প্রাথমিক চিকিৎসার কিছুটা সেরে ওঠার পর ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। ফলে তা নির্মূল করা যায় না। যার জেরে পরবর্তী সময় টিবির জটিল রূপ MDR TB/XDR TB ধারণ করতে পারে। তাই এই ভুল কখনওই করবেন না।
আরও পড়ুন - গ্যাস অম্বল তাড়ায়-পেট ঠান্ডা রাখে বেলপাতা, কখন খাবেন?