ধর্মীয় ও আয়ুর্বেদের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলসী অত্যন্ত শুভ গাছ। একদিকে পুজো হয় অন্যদিকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হয় এর সাহায্যে। শুধু তাই ন তুলসীর গুণের কথা শোনা যায় চিনেও। প্রাচীনকাল থেকেই বহু রোগের চিকিৎসায় তুলসীর ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী পাতা খেলে দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারেন। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে দূরে রাখে তুলসী। এসব অসুখ অল্প বয়সে মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।বিপজ্জনক রোগগুলি নিয়ন্ত্রণ করলে ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন।
তুলসীর গুণাগুণ- তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য গুণ। ছোট সবুজ পাতা ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের জোগান দেয়। এই সব জিনিস একসঙ্গে তুলসী পাতাকে করে তুলেছে মহাষৌধি।
মন শান্ত ও ক্ষুরধার- আজকাল সবাই মানসিক চাপের শিকার,যে কারণে মস্তিষ্কের শক্তি কমে যাচ্ছে। সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। তুলসী পাতা উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমায়। যা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর করে। মস্তিষ্ক পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে সক্ষম হয়।
স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক- খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং অলস জীবনযাত্রার কারণে শিরায় শিরায় জমে নোংরা পদার্থ। তা এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বলা হয়। এগুলির কারণে অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। এই ঝুঁকি কমাতে সকালে তুলসী পাতা খান।
ডায়াবেটিস মোকাবিলায়- ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে স্নায়ু, চোখ এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তুলসীকে সুগারের প্রতিষেধক। এটি প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ক্যান্সার প্রতিরোধে-ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। এর ফলে শরীরে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। তুলসী স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে। এতে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ রয়েছে।
দাঁতের ক্ষয় দূর- তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতের ক্ষয় দূর হয়। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা মুখের অস্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এই ভেষজটি অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতেও সাহায্য করে।