মাছ-ভাতে বাঙালি। দুপুরের মেনুতে মাছ ছাড়া চলে না। আর সেই মাছের ঝোলের রান্নার অন্যতম উপকরণ হলুদ। ডালেও হলুদ লাগে। শুধু তো ডাল বা ঝোলাই নয়, হলুদ ছাড়া সব রান্নাই ফিকে। খাবারে হলুদ দেওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। হলুদ ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও কাজে লাগে। হলুদ আয়ুর্বেদিক মহাষৌধি। চোটআঘাতের জায়গায় ব্যবহার করা হয়। তবে অতিরিক্ত হলুদ কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকরও।
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামে একটি উপাদান। বিবিধ রোগ সারাতে জুড়ি নেই। মশলা হিসাবে নয়, ঔষধিও হলুদ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরলের মাত্রা। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিস,অ্যাজমা, হার্টের রোগ, অ্যালঝাইমার, ডায়াবেটিস, ক্যানসার প্রতিরোধেও কারকিউমিন উপকারী। কারকিউমিন থাকার কারণে লিভারের রোগে হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মধুর সঙ্গে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে লিভারের সমস্যার প্রতিকার মেলে। কাঁচা হলুদের রস নুন মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেলে কৃমি কমে। কারকিউমিনের অ্যাস্পিরিন পুষ্টিগুণ থাকায় দূর হয় মানসিক অবসাদ।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, হলুদের ঔষধি গুণ রয়েছে এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে যে কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর।কেন হলুদ বেশি খাওয়া উচিত নয়? আর কতটা হলুদ খাওয়া ক্ষতিকর নয়?
হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। যার মাধ্যমে বিবিধ রোগ থেকে রক্ষা পান। তবে খুব বেশি খেলে আপনার পেট সংক্রান্ত সমস্যা বা মাথা ঘোরা হতে পারে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন এক চা চামচের বেশি হলুদ খাওয়া উচিত নয়। খেলে কী হতে পারে?
১। কিডনিতে পাথর- হলুদ অতিরিক্ত খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। এই মশলায় অক্সালেট নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়। যা শরীরে ক্যালসিয়াম দ্রবীভূত করতে বাধা সৃষ্টি করে। পরে তা শক্ত হয়ে কিডনিতে পাথরের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
২। বমি এবং ডায়রিয়া- হলুদে কারকিউমিন নামক উপাদান থাকে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। পেট খারাপ থাকলে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। তাই সীমার মধ্যে হলুদ খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।