বাঙালির কমফোর্ট ফুডের তালিকায় ডাল ভাত অন্যতম। আর হেঁশেলে মুসুর ডাল, মুগ ডাল, ছোলার ডালের পাশাপাশি বিউলির ডালও থাকে তালিকায়। আলু পোস্টের সঙ্গে এই ডাল খাওয়ার মজাই আলাদা। পোস্ত ছাড়া এই ডাল খেতে ভালো লাগে না। বিউলির ডালকে আমরা চিনি কলাইয়ের ডাল নামেও৷ গরমে ভাতের পাশে মৌরি ফোড়ন দেওয়া বিউলি ডালের সঙ্গে আলুপোস্ত থাকলে ঘটিবাড়িতে আর কোনও খাবারের দরকারই পড়ে না। কিন্তু এই ডালের উপকারিতা জানলে রোজই পাতে রাখবেন।
ডায়াবেটিসের পথ্য
এই ডালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪৩। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিউলির ডাল খুবই উপকারী। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না।
পুষ্টিতে ভরপুর
বিউলির ডালে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা রক্তে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ হ্রাস করে।
রক্তচাপ কমে
বিউলির ডালে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সমান ভাবে সাহায্য করে বিউলির ডাল। তাই হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট কার্যকর এই ডাল।
হজমের সমস্যা
হজমের সমস্যা কমাতে বিউলির ডাল অত্যন্ত উপকারী। রক্তশূন্যতার মতো রোগকে দূরে রাখে বিউলির ডাল। হৃদরোগের আশঙ্কাও কমায় এই ডাল।
পুরুষের জন্য ভাল
এই ডাল খেলে পুরুষের শুক্রাণুর উৎপাদন বাড়তে পারে। অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন যে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতিশীলতা বাড়াতে বিউলির ডাল খুবই উপকারী। এমনকী পুরুষত্বহীনতা এবং অকাল বীর্যপাত রোধেও সহায়ক হতে পারে এই ডাল।
রক্তশূন্যতা দূর হয়
বিউলির ডালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই এই ডাল আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। আমরা জানি যে আয়রন লোহিত রক্ত কণিকা(RBCs) উৎপাদনে খুবই সহায়ক এবং এই লাল রক্তনালীগুলি শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, অক্সিজেনের সরবরাহ শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রক্তশূন্যতার মতো রোগকে দূরে রাখে বিউলির ডাল।
হার্ট সুস্থ
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং শরীরকে শক্তিশালী করে। বিউলির ডাল হার্টকে রাখতে পারে সুপার হেলদি। গবেষণা বলছে যে, বিউলির ডালে উপস্থিত পটাশিয়ামের কারণে এটি আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুব সহায়ক। এই ডাল মানুষের ধমনীর দেয়ালের জন্য খুব ভালো। নিয়মিত বিউলির ডাল খেলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস এর সম্ভাবনা হ্রাস পেতে পারে।