হাইপারইউরিসেমিয়া অর্থাৎ উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড শরীরে অনেক রোগের কারণ হয়। আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে জয়েন্টে ব্যথা, হাঁটতে অসুবিধা এবং উঠতে ও বসতে অসুবিধা হয়। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে আমাদের জয়েন্টগুলিতে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা বাড়ে। এটি সরাসরি প্রোটিনের বর্ধিত পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রোটিন এবং পিউরিন অতিরিক্ত গ্রহণের কারণে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইউরিক অ্যাসিড হলে পালংশাক, পাঁঠার মাংস, টোম্যাটো— এই ধরনের খাবারগুলি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তা ছাড়া, অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের খাওয়া বারণ হয়ে যায়। সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছে ডাল। জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিড থাকলে কোন কোন ডাল খাওয়া চলবে না।
মুসুর ডাল
ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে প্রোটিন কম খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। মুসুর ডালে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন। বাকি ডালের চেয়ে মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে মুসুর ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ছোলার ডাল
লুচির সঙ্গে এক বাটি ছোলার ডাল হলে মন্দ হয় না। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ছোলার ডাল খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। মুসুর ডালের মতো না হলেও ছোলার ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কম নেই। প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিউলির ডাল
আলুপোস্ত সঙ্গে বিউলির ডাল বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। তবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় বিউলির ডাল এড়িয়ে চলতে পারেন। বিউলির ডাল খেতে ভাল লাগলেও ইউরিক অ্যাসিড যদি দীর্ঘ দিনের সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে এই ডাল এড়িয়ে চলাই ভাল।