Uric Acid Control Foods: ওষুধ ছাড়াই বাগে আসবে ইউরিক অ্যাসিড, পাতে রাখুন এই ৫ খাবার

অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড অস্থিসন্ধিতে জমা হয়। সে কারণে অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে ব্যথা হতে থাকে। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ওষুধ তো খাবেনই। তবে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করাও দরকার। সেই সঙ্গে মানতে হবে ডায়েট।

Advertisement
ওষুধ ছাড়াই বাগে আসবে ইউরিক অ্যাসিড, পাতে রাখুন এই ৫ খাবারইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কী করবেন?
হাইলাইটস
  • অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড অস্থিসন্ধিতে জমা হয়।
  • সে কারণে অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে ব্যথা হতে থাকে।

কর্মব্যস্ত জীবন এবং পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ডেকে আনছে অসুখ। এর মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরে যে সব উপসর্গ দেখা দেয় তা হল- পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে যন্ত্রণা ও গাঁটে গাঁটে ব্যথা। খাবার থেকে পাওয়া ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে কিডনিতে পৌঁছয়। কিডনি দূষিত পদার্থকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নির্গত করে। কিন্তু যকৃত বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করলে কিডনি ইউরিক অ্যাসিড দেহের বাইরে পাঠাতে পারে না। ফলে রক্তে বেড়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড। জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের বদলের ফলেই বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। 

অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড অস্থিসন্ধিতে জমা হয়। সে কারণে অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে ব্যথা হতে থাকে। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ওষুধ তো খাবেনই। তবে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করাও দরকার। সেই সঙ্গে মানতে হবে ডায়েট। পাতে কী কী থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড- 

লেবু- ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর লেবু। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। লেবু ইউরিক অ্যাসিডকে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বের করতে সক্ষম হয়। ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি চাইলে রোজ একটা করে লেবু খেতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিড তো বটেই ত্বকের জন্যও খুব উপকারী ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। কমলালেবু, মুসাম্বি, পাতিলেবু খেতে পারেন।

হলুদ- আয়ুর্বেদে মহাষৌধি বলা হয়েছে হলুদকে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও জুড়ি মেলা ভার।  প্রদাহ কমানোর উপাদান রয়েছে হলুদে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কার্যকর। হাঁটুর ব্যথা প্রশমণে লাগাতে পারেন হলুদ বাটা। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে থাকলে রোজ সকালে খালি পেটে খান হলুদ। 

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন- পাতে প্রোটিন থাকা আবশ্যক। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে রেড মিট খাওয়া যায় না। কিন্তু প্রোটিন তো চাই। তাই নানা রকম দানাশস্য, ডাল, মাশরুম রাখুন পাতে। 

দুগ্ধজাত খাবার- ফুল ফ্যাট দুধ এড়িয়ে চলুন। ক্রিম দুধও খাওয়া উচিৎ নয়। তবে দুধে থাকে প্রোটিন। তা দরকার শরীরে। সেজন্য প্রতি দিন 'ডবল টোনড' বা 'স্কিমড' দুধের দই বাড়িতে পেতে খেতে পারেন। তা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।  

Advertisement

আপেল- আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। রক্তে থাকা ​ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে নেয় ফাইবার। আপেলে থাকে ম্যালিক অ্যাসিডও। যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।

আরও পড়ুন- তুলসী গাছের গোড়ায় দিন এই পাউডার, পোকা ধরবে না, থাকবে পাতাবাহার

POST A COMMENT
Advertisement