scorecardresearch
 

Uric Acid Control Tips: ৪ ফল ও এই তেলেই জব্দ ইউরিক অ্যাসিড, আর কতক্ষণ ঘুম দরকার?

ইউরিক অ্যাসিডের সর্বাধিক প্রভাব পড়ে পায়ের উপর। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে পা শক্ত হওয়া, ব্যথা এবং ফুলে যাওয়ার মতো  সমস্যা হয়। যখন ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় তা অস্থিসন্ধিতে জমা হয় স্ফটিকের আকারে। যার ফলে গোড়ালি ফুলে যায়।

Advertisement
Uric Acid Control Tips ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের টিপস। Uric Acid Control Tips ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের টিপস।
হাইলাইটস
  • শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ফল কার্যকর।
  • সেই সঙ্গে দরকার ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম।

বর্তমান জীবনযাত্রায় ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।  ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে হাঁটাচলায় সমস্যা হয়। ফুলে যায় পা। অস্থিসন্ধিতে হয় যন্ত্রণা। 
ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে পাওয়া একটি রাসায়নিক যা প্রত্যেকের শরীরে তৈরি হয়। এই অ্যাসিড কিডনি পরিশ্রুত করে প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। শরীরে পিউরিনের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে গেলে কিডনি তা পরিশ্রুত করতে সক্ষম হয় না। অ্যাসিড জয়েন্টে জমতে শুরু করে অস্থিসন্ধিতে। শুরু হয় প্রচন্ড ব্যথা। 

ইউরিক অ্যাসিডের সর্বাধিক প্রভাব পড়ে পায়ের উপর। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে পা শক্ত হওয়া, ব্যথা এবং ফুলে যাওয়ার মতো  সমস্যা হয়। যখন ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় তা অস্থিসন্ধিতে জমা হয় স্ফটিকের আকারে। যার ফলে গোড়ালি ফুলে যায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে,অতিরিক্ত লেবু খেলে বেড়ে যায় ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ডায়েট এবং শরীরচর্চা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবারের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন খাওয়াদাওয়া ঠিকভাবে করতে হবে। সেই সঙ্গে দরকার শরীরচর্চাও। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ফল। এমনটা বলছে গবেষণা।   

চেরি- একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে চেরি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সক্ষম। এতে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রিউমেটিক প্রদাহকে দমন করতে পারে। 

কলা- উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে ব্যথা হলে প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে পারেন। কলায় থাকা পুষ্টি উপাদান ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। 

টকজাতীয় ফল- ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ইউরিক অ্যাসিড। এই দুটি খনিজ শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে পারে। বজায় রাখে পিউরিনের ভারসাম্য।

Advertisement

আপেল- আপেলে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে,যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার রক্ত ​​​​প্রবাহ থেকে ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে। ফলে নিয়ন্ত্রণে আসে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড। 

অলিভ অয়েল- অলিভ অয়েল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ যা প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে অলিভ তেলে খাবার রান্না করুন।

আরও পড়ুন- প্রাকৃতিক ফ্যাট বার্নার ৬ খাবার, ওষুধ ছাড়াই কমান ওজন

৭-৮ ঘন্টা ঘুম

ইউরিক অ্যাসিড রোগের ক্ষেত্রেও ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাব ইউরিক অ্যাসিডকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ঘুমের অভাব শরীরে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে,যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে দায়ী।

Advertisement