scorecardresearch
 

Vaginal White Discharge: মেয়েদের ঘন সাদা স্রাব কতটা ভয়ের? কেন হয়?

Vaginal White Discharge: কোনও মহিলার স্রাবের ধারাবাহিকতা, গন্ধ এবং রঙের পরিবর্তনগুলি নজর রাখা উচিত। কারণ এই ধরনের পরিবর্তনগুলি সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে। জানুন, এই নিয়ে নানা খুঁটিনাটি। 

Advertisement
মহিলাদের শারীরিক সমস্যার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি মহিলাদের শারীরিক সমস্যার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি
হাইলাইটস
  • একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগলেও বেশিরভাগ মহিলা তা নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান।
  • অনেকের থাকে বহু ভুল ধারণা, যা আরও ক্ষতিকারক।
  • সমস্যা না লুকিয়ে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

বেশিরভাগ মহিলা একাধিক শারীরিক সমস্যা (Women Health) নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ পর্যন্ত তারা নেন না। সেই সঙ্গে থাকে একগুচ্ছ ভুল ধারণা। এরকমই এক সমস্যা হচ্ছে ও অতিরিক্ত ঘন সাদা স্রাব (Thik White Discharge) হওয়ার সমস্যা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই নিয়ে নানা খুঁটিনাটি। 

ঘন, সাদা স্রাব মাসিক চক্রের (Monthly Cycle) একটি স্বাভাবিক অংশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য যোনি পরিষ্কার করার ফলাফল। কোনও মহিলার স্রাবের (Vaginal Discharge) ধারাবাহিকতা, গন্ধ এবং রঙের পরিবর্তনগুলি নজর রাখা উচিত। কারণ এই ধরনের পরিবর্তনগুলি সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।

 

Vaginal White Discharge all information

 

* ঘন, সাদা স্রাব

ভ্যাজাইনাল স্রাব প্রায়ই সাদা বা পরিষ্কার তরল হয়। একজন মহিলা, তার  মাসিক চক্রের কোথায় আছেন তার উপর নির্ভর করে স্রাবের ধারাবাহিকতা এবং স্বচ্ছতার সামান্য পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। 

ডিম্বাণু নিঃসরণ, মাসিক প্রবাহ, যৌন কার্যকলাপ, ব্যায়াম, গর্ভ নিরোধকের ব্যবহার, ফার্টিলিটির মতো বেশ কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে। 


* পুরু, সাদা, এবং দানা স্রাব

সংক্রমণের কারণে ভ্যাজাইনাল স্রাব ঘন, সাদা এবং এলোমেলো দেখা দিতে পারে। ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশনের জন্য এটি হতে পারে। এক্ষেত্রে জ্বালা, চুলকানি এবং ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে।  

আরও পড়ুন:  মহিলাদের গোপনাঙ্গে সংক্রমণ কেন হয়? জানুন লক্ষণ, চিকিৎসা ও বিস্তারিত তথ্য


* পাতলা, দুধের মতো  সাদা স্রাব 

পাতলা,  দুধের মতো  সাদা স্রাব অত্যন্ত সাধারণ। ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসের মতে, ভ্যাজাইনাল স্রাব প্রতিটা মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। অনেকের প্রতিদিন এই সমস্যায় ভোগেন, কারও আবার মাসে কয়েকবার হয়।
অন্যান্য বিশেষ কোনও উপসর্গ অনুভব না করলে, এই ধরনের স্রাব নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বিশেষত গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এই ধরনের স্রাব যোনি থেকে নির্গত হয়। 

Advertisement

* লালচে বা বাদামী স্রাব

যোনি থেকে লাল থেকে বাদামী স্রাব সাধারণত পিরিয়াডের আগে বা পরে নির্গত হয়। প্রায়শই পিরিয়ডের পরে যোনিপথের শেষ রক্ত পরিষ্কার হওয়ার সময় এটি হয় অনেক মহিলার। যদি মাসিকচক্র জুড়ে বাদামী স্রাবের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে এটি জরায়ু বা সার্ভিকাল ক্যান্সারের মতো রোগের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* হলুদ বা সবুজ স্রাব

হলুদ বা সবুজ রঙের স্রাব, সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা যৌন সংক্রমণের (STI) কারণে হয়। গাফিলতি না করে, এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

 

Vaginal White Discharge all information


সাদা স্রাব কী? 

সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া প্রায় প্রতিটা মহিলারই নয়। শারীর বৃত্তীয় বা জীবন শৈলী সংক্রান্ত কারণে এটি হলে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে উদ্বেগের কারণ তখন হয়, যখন এর রঙ, পরিমাণ বা গন্ধ অস্বাভাবিক ধরণের হয়। স্রাবের রঙ ধূসর, বাদামী, সবুজ বা হলুদ হলে কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত হলে গাফিলতি না করে, গুরুত্ব দিয়ে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন:  ন্যাপকিন, ট্যাম্পনের জায়গা নিচ্ছে মেনস্ট্রুয়াল কাপ! কীভাবে ব্যবহার করবেন? জানুন খুঁটিনাটি...

সাদা স্রাব কখন বেশি হওয়া স্বাভাবিক?

পিরিয়ডের সময়, মানসিক চাপ থাকলে কিংবা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে যে কোনও মহিলার সাদা স্রাবের তারতম্য হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে, গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন, যৌন মিলনের সময়কালে, এমনকী যৌন আবেগের কারণেও নারী শরীর থেকে সাদা স্রাব নির্গত হতে পারে। শুধু তাই না, মহিলা হস্তমৈথুন করলে কিংবা ডিম্বাণু নিঃসরণকালেও এটি দেখা দিতে পারে। ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবেও সাদা স্রাব দেখা দেয়, যেটি যোনির কোষ সচল লাগে অনেকক্ষেত্রে। 

 

Vaginal White Discharge all information

 

কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব? 

* স্যাঁতস্যাঁতে অন্তর্বাসের ফলে, ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে। তাই অন্তর্বাস, রোদে শুকোতে দেওয়া খুব প্রয়োজনীয়। 

* সেক্স টয় যোনিতে ব্যবহারের আগে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন প্রতিবার। 

* যোনির ত্বক খুবই নরম। তাই এখানে সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। আসলে সাবানের পিএইচ লেভেল অনেক বেশি।

* পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতার বিষয় অত্যন্ত যত্নশীল হওয়া জরুরি। ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পন পরিবর্তন করা উচিত। 

* খুব আঁটসাঁট পোশাক পরা কঠোরভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।

* সুগন্ধযুক্ত কোনও স্প্রে বা দ্রব্য যোনির চারপাশে ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন 

 

Advertisement