নিরামিষ খাবারের ফায়দা অনেক। এবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরামিষ আহারে কোলেস্টরল কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাইপারটেনশন, মেটাবলিক রোগ, ওজনবৃদ্ধি, টাইপ-২ ডায়াবিটিস থেকে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় নিরামিষ খাবার। উদ্ভীজ ডায়েট সম্পর্কে সচেতন করে এফএসএসএআই-ও (FSSAI)। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, নিরামিষাশীদের তুলনায় ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন আমিষভোজীরা।
ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ড, ক্যানসার রিসার্চ ইউকে আর অক্সফোর্ড পপুলেশন হেল্থ এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। ৪ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষকে নিয়ে এই গবেষণা ছেপেছে বিএমসি মেডিসিন। মাছ ও মাংসের খাওয়ার উপর নির্ভর করে তাঁদের একটি একটি দলে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- কারা সপ্তাহে পাঁচবারের বেশি প্রসেসড মাংস খাচ্ছেন, রেড মিট না চিকেন খান, কারা কম খান ইত্যাদি। সমীক্ষায় চিকেন খান না মাছ খাওয়া ব্যক্তিদেরও রাখা হয়েছে। নিরামিষ আহার করা লোকেরাও সামিল ছিলেন গবেষণায়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত যাঁরা মাংস খান, তাঁদের তুলনায় কম মাংস খাওয়া ব্যক্তিদের ক্যানসারের সম্ভাবনা ২ শতাংশ কম। শুধুমাত্র মাছ খান এমন ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ কম। আর নিরামিষভোজীদের তা ১৪ শতাংশ কম বলে লক্ষ করেছেন গবেষকরা। নিয়মিত ননভেজ খান এমন ব্যক্তিদের তুলনায় কম ননভেজ খাওয়া ব্যক্তিদের ক্যানসারের সম্ভাবনা ৯ শতাংশ কমে যায়। ঋতুচক্র বন্ধ হওয়ার পর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়মিত মাছ, মাংস খাওয়া মহিলাদের তুলনায় নিরামিষ আহার করা মহিলাদের ১৮ শতাংশ কম। অন্যদিকে শুধু মাছ খান যাঁরা তাঁদের থেকে নিরামিষাশীদের প্রটেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা ২০ থেকে ৩১ শতাংশ কম পাওয়া গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত- নিরামিষ খাবার খেলে কলেস্টরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। ভেজিটেরিয়ান ডায়েটে ক্যানসারের সম্ভাবনা ১০ থেকে ১২ শতাংশ কম। আমিষভোজীদের চেয়ে নিরামিষভোজীদের কোলেস্টরল ক্যানসার ২২ শতাংশ কম হয়।
আরও পড়ুন- সুস্বাস্থ্যের জন্য এই ৪ পজিশনে ঘুমোন, পাবেন উপকার