Vidur Niti For Success: ভুলেও এই ৪ ধরনের লোকের থেকে পরামর্শ নেবেন না, উল্টো ফল হয়

বিদুর নীতি অনুসারে, এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের পরামর্শ কখনও শোনা উচিত নয়। তাদের পরামর্শ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ তাদের পরামর্শ আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে বা তাদের পরামর্শ মেনে আপনি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Advertisement
ভুলেও এই ৪ ধরনের লোকের থেকে পরামর্শ নেবেন না, উল্টো ফল হয় vidur niti
হাইলাইটস
  • মহাত্মা বিদুরের নীতি।
  • আজও মেলে তাঁর নীতিকথা।

মহাভারতে মহাত্মা বিদুরের কথা সকলেই জানেন। তাঁর নীতিগুলিকেই বলা হয় বিদুরনীতি। সেই সময়ে তা যেমন প্রাসঙ্গিক ছিল বর্তমান সময়েও জীবনের জন্য তেমনই উপযোগী। বিদুর নীতি অনুসারে, এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের পরামর্শ কখনও শোনা উচিত নয়। তাদের পরামর্শ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ তাদের পরামর্শ আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে বা তাদের পরামর্শ মেনে আপনি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যে কারণে আপনি পরে অনুতপ্ত হতে পারেন। বিদুর নীতির মতে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কারা এমন ব্যক্তি যাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত নয়।

চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ- বিদুর নীতির মতে,যাঁরা তাড়াহুড়ো করে কাজ করে বা চিন্তা না করে কিছু করেন, তাঁদের কাছ থেকে কখনও উপদেশ নেবেন না। কারণ যাঁরা  নিজেরাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থন নয়, তাঁরা অন্যদের কী পরামর্শ দেবেন! এই ধরনের লোকদের পরামর্শ নেওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যাঁরা এই ধরনের লোকদের উপদেশ মেনে চলে,তাঁদের পরে অনুতপ্ত হতে হয়।

তোষামোদকারী- যাঁরা সবসময় অন্যদের তোষামোদ করে চলেন তাঁদের উপদেশ কখনও গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ এই ধরনের লোকেরা শুধু হ্যাঁ-কে 'হ্যাঁ' বলে না-কে 'না'। তাঁরা কখনও সঠিক উপদেশ দিতে পারে না। তাঁরা সাধারণত নিজের স্বার্থের কথা ভাবে। তাই তাঁরা উপদেশ দিলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া তোষামোদকারীরা সবসময় স্বার্থ দেখে পরামর্শ দেয়। সুতরাং এই ধরনের তোষামোদকারী ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। 

নির্বোধ- বিদুর নীতি বলছে,যাঁরা কম বুদ্ধিসম্পন্ন বা নির্বোধ তাঁদের কাছ থেকে কোনও বিষয়ে পরামর্শ নেবেন না। এই ধরনের লোকেরা কোনও বিষয়ের গভীরতা না বুঝেই মত দেয়। যা কখনও ঠিক হয় না। সেজন্য বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। 

আরও পড়ুন-শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল গলিয়ে দেয় হেঁশেলের সাদা মশলা, যেভাবে খাবেন...

Advertisement

অতিরিক্ত ভাবনার ব্যক্তি- কোনও ব্যক্তি যে কোনও জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত ভাবলে তাঁকেও এড়িয়ে তলাই শ্রেয়। কারণ সাধারণত ইতিবাচকের থেকে বেশি নেতিবাচক কথা বলে থাকেন তিনি। সাত-পাঁচ বেশি ভাবেন তাঁকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তাঁর মত নেতিবাচকতা বাড়ায়। সঠিক জিনিসেও বাগড়া দিতে পারেন। 

POST A COMMENT
Advertisement