Vinegar Health Benefits: খাবারের স্বাদ বাড়াতে ভিনিগার (Vinegar) তুলনাহীন। তা যদি চাইনিজ খাবার হয়, তবে তো একঘর। তবে এও জেনে রাখুন, শুধু খাবারকে সুস্বাদু করতেই নয়, ভিনেগারে আছে অনেক ঔষধি গুণও। এছাড়াও, গৃহস্থের নানারকম কাজে প্রয়োজন হয় ভিনিগার। বাড়িতে সাধারণত কালো ভিনিগার ব্যবহার করা হয়, তবে স্বাস্থ্যের দিক থেকে সাদা ভিনিগার এবং অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুবই উপকারী। চেহারার উন্নতি থেকে শুরু করে অনেক ছোট-বড় রোগের চিকিৎসায় ভিনিগার ব্যবহার করা যায়।
ভিনিগারের বিশেষ উপকারিতা (Vinegar Benefits):
১. চমৎকার কন্ডিশনার
কন্ডিশনার হিসেবে ভিনিগার ব্যবহার করা যেতে পারে। এক কাপ জলে আধা চা চামচ ভিনিগার মিশিয়ে তা দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে দেখুন, প্রতিকারের সঙ্গে, আপনার চুল উজ্জ্বল এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
২. হেঁচকি ওঠা বন্ধ করতে কার্যকরী ভিনিগার
যদি আপনার ঘন ঘন হেঁচকি হয়, তাহলে এক চামচ ভিনিগার খান। হেঁচকি কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. গলা ব্যথা উপশম করতে
গলা ব্যথা হলে এক কাপ গরম জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে গার্গল করুন। আপনার গলা ব্যাথা চলে যাবে।
৪. পেশীর ব্যথা উপশম করার জন্য
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের কারণে পেশীতে ব্যথা হয়। ভিনিগার ব্যবহার করে পেশী ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. ওজন কমাতে কাজ করে (Weight Loss)
যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ করার পরে, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিনিগার খেতে পারেন। কিছু দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবেন।
তবে ভিনিগার থেকে এক্ষেত্রে সাবধান থাকুন (Vinegar Side Effects):
সরাসরি গ্লাসে জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে তা দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁত ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে। তাই স্ট্র দিয়ে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের জল খেতে পারেন। আর অতিরিক্ত পরিমাণেও খাবেন না, এতে শরীরের পটাশিয়াম লেভেল কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি ডায়রিয়া, বদহজম এবং হাড়ের ক্ষতি হতে পারে।