scorecardresearch
 

দুর্গাপুরে চাষ হচ্ছে বেগুনি রঙের কপি, অত্যন্ত উপকারী, কেন?

অভিজিৎ চক্রবর্তী জানান, এই জাতীয় ফুলকপি নেদারল্যান্ডে (Netherlands) হয়। দুর্গাপুরের এক শস্যবীজ বিক্রেতা তাঁকে এই ফুলকপি চাষ করার পরামর্শ দেন। ওই শস্যবীজ বিক্রেতার পরামর্শ মতোই তিনি এই বছর হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি আরও জানাচ্ছেন, সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এই ফুলকপি চাষের খরচও দ্বিগুণ। প্রতি গাছ পিছু প্রায় ১০ টাকা করে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু পাইকারি বাজারে তেমন মুনাফা হচ্ছে না।

Advertisement
নতুন ধরনের ফুলকপি নতুন ধরনের ফুলকপি
হাইলাইটস
  • অভিনব ফুলকপি চাষ
  • দুর্গাপুরে ফলছে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি
  • বাজারে ব্যাপক চাহিদা

শীতকালের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি (Cauliflower)। প্রায় সকলেই শীতকাল এই সবজি খেয়ে থাকেন, তাই চাহিদাও থাকে খুব। আর এবার নতুন ধরনের ফুলকপি ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন দুর্গাপুরের কৃষক অভিজিৎ চক্রবর্তী। সাধারণ ফুলকপি ও ব্রোকলির পাশাপাশি বেগুনি (Violet Cauliflower) ও হলুদ (Yellow Cauliflower) রঙের ফুলকপিও ফলিয়েছেন তিনি, যা রীতিমতো স্থান পেয়েছে গেরস্থের হেঁশেলে।  

অভিজিৎ চক্রবর্তী জানান, এই জাতীয় ফুলকপি নেদারল্যান্ডে (Netherlands) হয়। দুর্গাপুরের এক শস্যবীজ বিক্রেতা তাঁকে এই ফুলকপি চাষ করার পরামর্শ দেন। ওই শস্যবীজ বিক্রেতার পরামর্শ মতোই তিনি এই বছর হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি আরও জানাচ্ছেন, সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এই ফুলকপি চাষের খরচও দ্বিগুণ। প্রতি গাছ পিছু প্রায় ১০ টাকা করে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু পাইকারি বাজারে তেমন মুনাফা হচ্ছে না। অথচ খুচরো সবজি ব্যবসায়ীরা হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি এক-একটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। রঙের নতুনত্ব থাকায় এবং সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে এই ফুলকপিতে অম্বল হয় না বলেও জানান  অভিজিৎবাবু। 

বেগুনি ফুলকপি নিয়ে কৃষক
বেগুনি ফুলকপি নিয়ে কৃষক

আপাতত কেবল টাউনশিপের চণ্ডীদাস (Durgapur Chandidas Market) বাজারেই এই ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেই এতো চাহিদা রয়েছে যে এখনও বেনাচিতি সহ অন্যান্য বাজারে এই ফুলকপি পৌঁছায়নি। এক্ষেত্রে আগামিবছর আরও বেশি চাষ করে চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে আশাবাদী ওই কৃষক।

রঞ্জন বাদ্যকর নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ক্রেতারা আকর্ষিত হয়ে এই ফুলকপি কিনছেন। কেউ কেউ অগ্রিম অর্ডারও দিয়ে যাচ্ছেন। একই ধরনের ফুলকপি থেকে একঘেয়েমি কাটাতে বাজারে এর বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে। তবে চাষ কম হওয়ায় প্রয়োজন মতো যোগান নেই। অন্যদিকে অভিজিৎবাবুর মা অনিতা চক্রবর্তী জানান, শহরের কৌতুহলী মানুষ নতুন ধরনের এই ফুলকপির চাষ দেখতে ঠিকানা খুঁজে জমিতে পৌঁছে যাচ্ছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন - আগামিকাল থেকে ফের বৃষ্টি, বাড়বে তাপমাত্রা

 

Advertisement