
ইতিমধ্যেই দুর্গোপুজো 'ফিভারে' ভেসে গিয়েছে কলকাতা। সর্বত্র লোকেলোকারণ্য। মেট্রো, ট্রেনে, বাসে বাদুড়ঝোলা ভিড়। সন্ধে থেকেই প্যান্ডেলগুলোর সামনে লম্বা লাইন। সবমিলিয়ে কল্লোলিনী কলকাতা এখন উৎসবমুখর।
যদিও অনেকের এই ধরনের হইহই পরিবেশ পছন্দ নয়। তাঁরা দুর্গোপুজোর এই জাঁকজমক, থিমের থেকে দূরে থাকতে চান। বরং একটু নিরিবিলিতে কাটাতে চান সময়। সেই সঙ্গে পেতে চান খাঁটি পুজোর স্বাদ।
আর আপনার এই মনস্কামনা পূরণ হয়ে যাবে জনাই, গরলগাছা এবং বাকসায় ঢুঁ মারলে। আসুন সেখানকার কয়েকটি সেরা বনেদি পুজোর কথা শুনে নেওয়া যাক। (ছবি: প্রতীকী)
গরলগাছা জমিদার বাড়ি
এখানে ২৫০ বছর ধরে দুর্গাপুজো হয়েছে আসছে। বাড়ির ছত্রেছত্রে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। কথিত আছে, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব থেকে রামপ্রসাদ সেন, অনেক বিশিষ্ট মানুষের পা পড়েছে এই বাড়িতে। তাই মনে হলে চলে যেতেই পারেন এখানে। পুজো দেখে, আশপাশটা ঘুরে নিন। তাহলেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
জনাইয়ের বাজারবাড়ি
এই বাড়ি তৈরি করেছেন উমাকান্ত মুখোপাধ্যায়। আর এটা বাজার এলাকায় রয়েছে বলে এর নাম বাজারবাড়ি।
বহু পুরনো এই বাড়ির পুজো। পাঁচ পুরুষ দিয়ে পুজো হয় এখানে। এখানকার ঝাড়লণ্ঠনগুলিও দেখারমতো। ষষ্ঠীতে এগুলি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
টুক করে ঘুরে আসুন গোলাবাড়ি
বাজারবাড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে নিন গোলাবাড়ি। এই পুজোও ৩৫০ বছরের বেশি পুরনো। এই বাড়ির প্রতিটি দেওয়ালই ইতিহাসের কথা বলে। তাই চেষ্টা করুন সুযোগ পেলেই এই বাড়িতে ঘুরে আসার।
কালীবাবুর বাড়িতেও ঢুঁ মারুন
আরও এক বনেদি পুজো দেখতে হলে চলে আসুন কালীবাবুর বাড়িতে। এই বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা কালিকাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি স্বপ্নে দেবীদুর্গার দর্শন পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই এই বাড়িতে শুরু হয়ে মায়ের আরাধানা। এখনও সেই ধারা বর্তমান। অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গেই এই বাড়ির পুজোটি করা হয়। তাই চাইলে চলে যেতে পারেন এই কালীবাবুর বাড়ির পুজো দেখতে।
সিংহীবাড়ির পুজো
৪০০ বছরের ইতিহাস বয়ে বেড়াচ্ছে এই বাড়ির পুজো। এটাই মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদকারী কালীপ্রসন্ন সিংহের পৈতৃক বাড়ি। তাই এর ইতিহাস সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই। তাই সময়ের সরণি বেয়ে পিছনে যেতে চাইলে এই বাড়িতে আসতেই পারেন।
মিত্রবাড়ি
এই পুজোর বয়স ৪৫০-এর বেশি। পরশুরাম মিত্রের হাত ধরেই এই বাড়িতে পুজোর শুরু।
এখানে বাড়ির ঠাকুর দালানেই প্রতিমা তৈরি হয়। পুজোর কটা দিন খুব নিষ্ঠাভরে পুজো হয় এখানে। জড় হন আশপাশের মানুষও।